‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ১০ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 10 Part 2) – এর বাংলা প্রথম ভাষা (Bengali 1st Language) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা যেন বাড়ির বাইরে না বের হয় ।
তোমরা সবার আগে অবশ্যই নিজে করার চেষ্টা করবে। তারপর কোনরকম অসুবিধা হলে তোমরা আমাদের সাজানো উত্তরের সাহায্য নিতে পারো। উত্তরগুলি খাতায় তোমরা করার আগে অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে তারপর লেখা শুরু করবে ।
Table of Contents
ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ২ ( দশম শ্রেণী )
বিষয় – বাংলা (প্রথম ভাষা)
পূর্ণমান – ২০
February Model Activity Task Class 10 Part 2 Answer
( বাংলা প্রথম ভাষা )
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : (১x৩ = ৩)
১.১ ‘অসুখী একজনে’ কবিতার ভাষান্তর করেছেন—
(ক) শঙ্খ ঘােষ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) নবারুণ ভট্টাচার্য
(ঘ) অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত
১.২ কবি পাবলাে নেরুদার জন্মস্থান
(ক) চিলি
(খ) পেরু
(গ) ফ্রান্স
(ঘ) ইতালি
১.৩ ‘সে জানত না’ – উদ্ধৃতাংশে ‘সে’ বলতে বােঝানাে হয়েছে গির্জার এক
(ক) সন্ন্যাসিনীকে
(খ) একটি শিশুকে
(গ) একজন সাধারণ নারীকে
(ঘ) ঈশ্বরকে
২. কম-বেশি ২০টি শব্দে উত্তর লেখাে : (১x৩ = ৩)
২.১ ‘আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’ – কথক কাকে ছেড়ে দিলেন?
উত্তর:– ‘আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’ – উক্তিটি বক্তা টাড় অপেক্ষায় বোশে থাকা মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার কোঠা এখানে বলেছেন।
২.২ বছরগুলাে নেমে এল তার মাথার ওপর। – বছরগুলাে কীভাবে নেমে এসেছিল?
উত্তর:– বছরগুলাে নেমে এল তার মাথার ওপর – উক্তিটিতে বছরগুলাে পরপর পাথর নেমে আসার মতাে নেমে এসেছিল তার মাথার ওপর।
২.৩ ‘তারপর যুদ্ধ এল’ – যুদ্ধ কীভাবে এসেছিল?
উত্তর:– ‘তারপর যুদ্ধ এল’ – বাক্যটি পাবলো নেরুদার অসুখী একজন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে যুদ্ধ এসেছিলো রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : (৩x৩ = ৯)
৩.১ সেই মেয়েটির মৃত্যু হলাে না।” – মেয়েটির মৃত্যু না হওয়ার তাৎপর্য কী ?
উত্তর:– কবি বিপ্লব যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় যে মেয়েটি তাঁর জন্য দরজায় অপেক্ষা করেছিল এখানে তার কথা বলেছেন ।
মেয়েটির মৃত্যু না হওয়ার তাৎপর্য– বিপ্লবের আদর্শে উদ্বুদ্ধ মানুষ যুদ্ধের পথে পা রেখে সংসার, প্রিয়জন সবকিছুকেই পিছনে ফেলে যায়। কিন্তু এই কঠোর বাস্তবকে মেনে নিতে পারে না তার প্রিয়তমা মেয়েটি। প্রিয় মানুষটির জন্য তার অপেক্ষা চলতেই থাকে। যুদ্ধ অজস্র ধ্বংস এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মেয়েটির মৃত্যু ঘটে না। চিরজীবী ভালােবাসার প্রতীক রূপেই মেয়েটি বেঁচে থাকে।
৩.২ ‘সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন’ – তার ফলে কী ঘটল ?
উত্তর:– আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে যুদ্ধ আসার ফলে সমতলে আগুন ধরে গেল। যুদ্ধের আগুন ধ্বংস ডেকে আনল। তার তীব্রতায় ভেঙে পড়ল মন্দির। টুকরাে টুকরাে হয়ে গেল শান্ত হলুদ দেবতাদের পাথরের মূর্তি। পুড়ে গেল স্বপ্নের ঘরবাড়ি, সাধের বাগান, গােলাপি গাছ, চিমনি আর প্রাচীন জলতরঙ্গ। বলা যায় যে, সব কিছুই চুরমার হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে। যেখানে শহর ছিল সেখানে পড়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানাে লােহা আর ভাঙা পাথরের মূর্তির মাথা।
৩.৩ ‘যেখানে ছিল শহর’ – সেখানে কী কী ছড়িয়ে রইল?
উত্তর:– কবি পাবলো নেরুদা লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে যুদ্ধ অস্থিরতা আর ধ্বংসকে বহন করে আনে। ঠিক তেমনই এক যুদ্ধে একটা শহর পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। চারিদিকে শুধুছড়িয়ে ছিটিয়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানাে লােহা আর মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা। এভাবেই যুদ্ধের তাণ্ডবে আস্ত একটা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : (৫)
‘অসুখী একজন’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
উত্তর:–
নামকরণের সার্থকতা:- নামকরণের মধ্য দিয়ে যেকোনো কোনাে সাহিত্যের মর্মার্থের পরিচয় পাওয়া যায়। তেমনি একইভাবে কবিতাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এখানে পাঠ্য কবিতাটির অসুখী একজন নামকরণ তার অন্তর্নিহিত ব্যঞ্জনাকেই প্রকাশ করেছে। অসুখী একজন কবিতার কথক তাঁর প্রিয়জনকে দরজায় অপেক্ষায় রেখে চলে যান দূরে। প্রিয় মানুষটির ফিরে আসার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং একসময় বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়। বিপ্লবী যে পথে তাঁর স্বভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সেই পথে জন্মায় ঘাস। কবির স্মৃতি চিরকালের জন্য বিবর্ণ হয়ে যায়।
তারপর আসে ভয়ানক যুদ্ধ। ধ্বংস হয়ে যায় সবকিছু। শুধু মৃত্যু হয় না অপেক্ষারত মেয়েটির। এত বিপর্যয়ের পরও সে কবির প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। যুদ্ধ সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে, কিন্তু স্বজন ও স্বদেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে না। যুদ্ধের আগুনে বাড়িঘর পােড়ে, ছাই হয়ে যায় প্রাসাদ, উদ্যান, সবকিছু। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জেগে থাকে ভালােবাসা। দীর্ঘ অপেক্ষা তার হৃদয়কে বেদনায় ভারী করে রেখেছে বলে মেয়েটি অসুখী। আর এইজন্যই কবিতার শিরােনাম ‘অসুখী একজন’ সার্থকতা লাভ পেয়েছে।