প্রিয় ভবিষ্যতের নক্ষত্ররা,
‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ১০ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 10 Part 2) – এর জীবনবিজ্ঞান (Life Science) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় খুললে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) তোমাদের জমা করতে হবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।
তোমরা সবার আগে অবশ্যই নিজে করার চেষ্টা করবে। তারপর কোনরকম অসুবিধা হলে তোমরা আমাদের সাজানো উত্তরের সাহায্য নিতে পারো। উত্তরগুলি খাতায় তোমরা করার আগে অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে তারপর লেখা শুরু করবে ।
Table of Contents
ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ২ ( দশম শ্রেণী )
বিষয় – জীবনবিজ্ঞান
পূর্ণমান – ২০
February Model Activity Task Class 10 Part 2 Answer
( জীবনবিজ্ঞান )
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে : (১x৩ = ৩)
১.১ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশটি শনাক্ত করাে —
(ক) গুরুমস্তিষ্ক
(খ) লঘুমস্তিষ্ক
(গ) সুষুম্নশীর্ষক
(ঘ) থ্যালামাস
১.২ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা নির্বাচন করাে —
(ক) কবজা অস্থিসন্ধি – কাঁধ
(খ) রােটেটর পেশি – ট্রাইসেপস
(গ) বল ও সকেট অস্থিসন্ধি – হাঁটু
(ঘ) ফ্লেক্সর পেশি – বাইসেপস
১.৩ মানবদেহে সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা স্থির করাে
(ক) ১১ জোড়া
(খ) ২১ জোড়া
(গ) ৩১ জোড়া
(ঘ) ৪১ জোড়া
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে : (১x৪ = ৪)
২.১ লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি______দ্বারা যুক্ত থাকে।
উত্তরঃ- লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি ভারমিজ নামক স্নায়ু যোজক দ্বারা যুক্ত থাকে।
২.২ কর্নিয়া_______মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
উত্তরঃ- কর্নিয়া প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
২.৩ সাইকেল চালানাে_______প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
উত্তরঃ- সাইকেল চালানাে অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
২.৪ প্যারামেসিয়াম________সাহায্যে গমন করে।
উত্তরঃ- প্যারামেসিয়াম সিলিয়ার সাহায্যে গমন করে।
৩.দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : (২x৪ = ৮)
৩.১ মাছের গমনে মায়ােটম পেশির ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
উত্তরঃ- মাছের গমনে মায়ােটম পেশির ভূমিকা:-
মাছের মেরুদণ্ডের দুপাশে কানকো থেকে পুচ্ছ পাখনার গোড়া পর্যন্ত ‘V’ আকৃতির মায়োটম পেশিগুলি সজ্জিত থাকে ।
মায়ােমে পেশিগুলির পর্যায়ক্রমে সংকোচন ও প্রসারণের জন্য মেরুদণ্ডটিও পর্যায়ক্রমে দু-পাশে আন্দোলিত হতে থাকে, ফলে মাছ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
৩.২ সাইন্যাপসের কাজ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ- সাইন্যাপসের কাজ:-
(i) সাইন্যাপস-এর মাধ্যমে একটি নিউরোন থেকে অপর একটি নিঊরোনে স্নায়ু স্পন্দনের একমুখী পরিবহণকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
(ii) দুটি নিউরোনের মধ্যবর্তী ফাঁক যুক্ত সংযোগস্থলই হল সাইন্যাপস । সাইন্যাপস একটি নিউরোন থেকে পরবর্তী নিউরোনে স্নায়ু স্পন্দন প্রেরন করে । সাইন্যাপসকে ‘শারীরবৃত্তীয় ভালভ’ বলা হয় ।
৩.৩ “কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিমার্জন ঘটে” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা | করাে।
উত্তরঃ- কোনো বস্তু চোখের থেকে 6m দূরত্ব পর্যন্ত অবস্থান করলে তাকে কাছের বস্তু হিসেবে গণ্য করা হয় । কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে সিলিয়ারি পেশির সংকোচন চোখের লেন্সের বক্রতা বৃদ্ধি পায়, লেন্স পুরু হয় এবং লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।
৩,৪ মায়ােপিয়ার কারণ ও প্রয়ােজনীয় সংশােধনী ব্যবস্থা আলােচনা করাে।
উত্তরঃ- যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে, তাকে মায়ােপিয়া বা নিকটদৃষ্টি বলে।
কারণঃ-
(i) অক্ষিগোলকের আকৃতি স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হওয়ায় বস্তু থেকে আগত আলোক রশ্মি রেটিনার সামনে প্রতিবিম্ব গঠন করে । ফলে কাছের বস্তু স্পষ্ট কিন্তু দূরের বস্তু অস্পষ্ট হয়ে যায় ।
(ii) লেন্স অত্যন্ত বেশি উত্তল প্রকৃতির হলে মায়োপিয়া হয়ে থাকে। মায়োপিয়ার প্রয়োজনীয় সংশোধনী ব্যবস্থা – অবতল লেন্সের মাইনাস (-)পাওয়ার যুক্ত চশমার ব্যবহার প্রতিবিম্বকে রেটিনায় সঠিক ভাবে ফোকাস করে এবং এই ত্রুটি দূর করতে সাহায্য করে ।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৩+২ = ৫)
৪.১ “নানা কারণে জীবের গমন ঘটে” – কারণগুলি আলােচনা করাে। হরমােন ও স্নায়ুতন্ত্রের দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
উত্তরঃ-
কারণঃ-
“নানা কারণে জীবের গমন ঘটে” – কারণগুলি হল
(i) খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে।
(ii) আত্মরক্ষার তাগিদে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন করে।
(iii) উপযুক্ত বাসস্থান এর জন্য স্থানান্তরে গমন করে।
(iv) প্রজনন পক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ও স্থানান্তরে গমন করে।
(v) বংশবিস্তারের জন্য প্রাণীদের উপযুক্ত প্রজনন স্থান খুঁজে নেওয়ার জন্য বা উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচনের জন্য স্থানান্তরে গমন করতে হয় ।
পার্থক্য:-
হরমােন | স্নায়ুতন্ত্র |
(i) হরমােন কাজ মন্থর কিন্তু সুদূর প্রসারী | স্নায়ুতন্ত্রের কাজ দ্রুত কিন্তু তাৎক্ষণিক |
(ii) হরমােন প্রধানত উৎসল থেকে দূরে ক্রিয়া | স্নায়ুতন্ত্র কখনাে স্থানচ্যুত হয় না |
(iii) হরমােন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় | ক্রিয়ার পর স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত পরিবর্তন হয় না |
আমি আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পরে, আপনি কোনও সমস্যা ছাড়াই সমস্যাটি সমাধান করতে সক্ষম হবেন। যাইহোক, যদি কোনও সুযোগে ত্রুটিটি এখনও থেকে যায় তবে মন্তব্যে আমাকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।