‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৯ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 9 Part 2) – এর ভূগােল (Geography) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রিয় নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা যেন বাড়ির বাইরে না বের হয় । প্রয়োজনে তোমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা-শিক্ষকদের সহায়তা নিতে পারো।
Table of Contents
ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ২ ( নবম শ্রেণী )
বিষয় – ভূগােল
পূর্ণমান – ২০
February Model Activity Task Class 9 Part 2 Answer
( ভূগােল )
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : (১x৩ = ৩)
১.১ নীচের যে ক্ৰমে পৃথিবীর আবর্তন বেগ ক্রমশ কমতে থাকে সেটি হলাে—
(ক) কর্কটক্রান্তি রেখা – সুমেরুবৃত্ত রেখা – নিরক্ষরেখা – সুমেরু
(খ) নিরক্ষরেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – সুমেরুবৃত্ত রেখা – সুমেরু
(গ) সুমেরুবৃত্ত রেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – নিরক্ষরেখা – সুমেরু
(ঘ) সুমেরু – সুমেরুবৃত্ত রেখা – কর্কটক্রান্তি রেখা – নিরক্ষরেখা
১.২ পৃথিবীর আলােকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশের মধ্যবর্তী সীমারেখাকে বলে—
(ক) মূলমধ্যরেখা
(খ) নিরক্ষরেখা
(গ) ছায়াবৃত্ত
(ঘ) মকরক্রান্তি রেখা
১.৩ ঠিক জোড়টি নির্বাচন করাে:
(ক) ২১ মার্চ – উত্তর গােলার্ধে দীর্ঘতম দিন, দক্ষিণ গােলার্ধে ক্ষুদ্রতম রাত
(খ) ২২ ডিসেম্বর – নিরক্ষরেখায় সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে
(গ) পৃথিবীর অনুসুর অবস্থান – উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল
(ঘ) ২১ জুন – উত্তর অয়নান্ত দিবস
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে : (১x২ = ২)
২.১ কোরিওলিস বলের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহের দিকবিক্ষেপ ঘটে।
২.২ ২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সূর্যের আপাত দক্ষিণাভিমুখী চলন লক্ষ করা যায়।
২.২ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : (১x৩ = ৩)
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
২.২.১ আয়নোস্ফিয়ার | ১. সমান দিন ও রাত |
২.২.২ ফুকো | ২. মেরুপ্রভা |
২.২.৩ বিষুব | ৩. পৃথিবীর আবর্তন গতির পরীক্ষা |
উত্তর:-
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
২.২.১ আয়নোস্ফিয়ার | ২. মেরুপ্রভা |
২.২.২ ফুকো | ৩.পৃথিবীর আবর্তন গতির পরীক্ষা |
২.২.৩ বিষুব | ১. সমান দিন ও রাত |
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (২x২ = ৪)
৩.১ সৌরদিন বলতে কী বােঝাে?
উত্তর:- সূর্যকে আকাশের একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে রেখে ২৪ ঘন্টায় একবার পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর আবর্তন এর সময়কে বলে সৌরদিন ।
পৃথিবীর একটি সৌরদিনের সময়ের ব্যবধান হয় 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড বা 1 দিন।
৩.২ অরােরা অস্ট্রালিস কাকে বলে?
উত্তর:- দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু অঞ্চলে যখন একটানা ৬ মাস (21 শে মার্চ থেকে 23 শে সেপ্টেম্বর) রাত্রি থাকে, তখন রাতের আকাশে মাঝে মাঝে রংধনুর মত বর্ণময় আলোক প্রভা দেখা যায় । একেই অরোরা অস্ট্রালিস বা কুমেরু প্রভা বলে ।
উদাহরণ – অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ থেকে অরোরা অস্ট্রালিস দেখতে পাওয়া যায় ।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৩x১ = ৩)
“ঋতু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অক্ষের হেলানাে অবস্থানের প্রভাব সর্বাধিক।”—ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর:- পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষতলের সঙ্গে সাড়ে ৬৬ ১/২° কোণ করে হেলে অবস্থান করে আছে।ফলে সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর একবার প্রদক্ষিণ এর সময় উত্তর গোলার্ধ একবার সূর্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে আবার দক্ষিণ গোলার্ধ একবার সূর্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যখন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে তখন উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল হয়। আবার যখন পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে তখন দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও উত্তর গোলার্ধে শীতকাল হয়।
এইভাবে উত্তাপ এর তারতম্য ঘটে ঋতু পরিবর্তনের সাহায্য করে। তাই বলা যায় ঋতু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অক্ষের হেলানো অবস্থানের প্রভাব সর্বাধিক।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৫x১ = ৫)
পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রমাণস্বরূপ যেকোনাে দুটি পরীক্ষা চিত্রসহ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর:- যে গতির দ্বারা পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুদন্ডের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা প্রায় ২৪ ঘন্টায় একবার আবর্তন করে, সেই গতিকে আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি বলা হয়। পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রমাণস্বরূপ দুটি পরীক্ষা নিম্নে আলোচনা করা হল –
(i) দিন ও রাতের পর্যায়ক্রমিক সংগঠন (ii) ফুকোর দোলকের পরীক্ষা
(i) দিন ও রাতের পর্যায়ক্রমিক সংগঠনঃ- আবর্তন গতি আছে বলেই মোটামুটি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবীর যে কোন স্থান পর্যায়ক্রমে একবার সূর্যের সামনে আসে, ফলে সেই স্থানে দিন হয়। যদি পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকত, তাহলে পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের সামনে থাকত সেখানেই সবসময় দিন এবং বিপরীত অংশে সবসময় রাত বা চির-অন্ধকার বিরাজ করত।
(ii) ফুকোর দোলকের পরীক্ষাঃ- ১৮৫১ সালে বিখ্যাত ফরাসি বৈজ্ঞানিক ফুকো ফ্রান্সের প্যান্থিয়ন গির্জা থেকে 61 মিটার একটি সরু তারের মধ্যে পিন সহ লােহার বল ঝুলিয়ে তার নিচে সামান্য বালি এমন ভাবে ছড়িয়ে দেন যাতে বলটির পিন বালিতে দাগ কাটতে পারে। এরপর বলটিকে উত্তর-দক্ষিণে দুলিয়ে দেন।
পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো মনে হতে পারে, তাই আমরা এর পুরোটাই অতি সহজে এবং সম্পূর্ণভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কি আপনার পরিস্থিতির সমাধান করেছি – নাকি আপনি অন্য কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন? আমাদের অবশ্যই জানাবেন।