‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৮ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 8 Part 2) – এর ইতিহাস (History) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,
আমরা পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task) জমা দেবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।
Table of Contents
ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ ( অষ্টম শ্রেণী )
বিষয় – ইতিহাস
পূর্ণমান – ২০
February Model Activity Task Class 8 Part 2 Answer
( ইতিহাস )
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : (১x৪ = ৪)
(ক) মুর্শিদকুলি বাংলার নাজিম পদ লাভ করেন________খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর:- ১৭১৭
(খ) হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন_______।
উত্তর:- মির কামার উদ – দিন খান সিদ্দিকি
(গ) বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল_________খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর:- ১৭৭০
(ঘ) অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি প্রবর্তন করেন_________।
উত্তর:- লর্ড ওয়েলেসলি
২. স্তম্ভ মেলাও : (১x৪ = ৪)
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ | দেওয়ানি অধিকার |
১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দ | পলাশি যুদ্ধ |
১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ | বক্সার যুদ্ধ |
১৭৮২ খ্রিস্টাব্দ |
উত্তর:-
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ | পলাশি যুদ্ধ |
১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দ | বক্সার যুদ্ধ |
১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ | দেওয়ানি অধিকার |
৩. একটি-দুটি বাক্যে উত্তর দাও : (১×৩ = ৩)
(ক) কোন নবাব বাংলার রাজধানী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মুঙ্গেরকে?
উত্তর:- মির কাশিম বাংলার রাজধানী হিসেবে বেছে নিয়েছিল মুন্সেরকে।
(খ) স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোম্পানি কোন রাজ্যগুলি দখল করে?
উত্তর:- স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোম্পানি সাতারা, সম্বল পুর, ঝাঁসি, প্রভৃতি রাজ্যগুলি দখল করে।
(গ) কোম্পানি ও মহীশূরের মধ্যে কতগুলি যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর:- ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চারটি যুদ্ধ হয়েছিল কোম্পানিও মহীশুরের মধ্যে ।
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : (৩×৩ = ৯)
(ক) ফররুখশিয়রের ফরমানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে কী কী অধিকার দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর:- ফারুখশিয়ারের ফরমানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে যে যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল সেগুলি হল-
(ক) বছরে মাত্র ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ব্রিটিশ কোম্পানি বিনিময়ে বাংলায় বাণিজ্য করতে পারবে এবং এর জন্য কোম্পানিকে কোন শুল্ক দিতে হবে না।
(খ) ব্রিটিশ কোম্পানি কলকাতার কাছাকাছি ৩৮ টি গ্রামের জমিদারি কিনতে পারবে।
(গ) কোম্পানির পণ্য কেউ চুরি করলে তাকে বাংলার নবাব শাস্তি দেবেন আবার কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।
(ঘ) কোম্পানির জাহাজের সঙ্গে অনুমতি পত্র থাকলেই সেই জাহাজ অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে।
(ঙ) বাংলার নবাবের টাকশালও প্রয়োজন মতো কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে।
(খ) ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- 1757 খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার নবাব হন মীরজাফর নতুন নবাব ইংরেজ কোম্পানিকে কিছু বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল। যেমন –
(ক) বাংলায় বিনাশুল্কে ব্যবসা করার অধিকার।
(খ) দুই 24 পরগনা জমিদারি লাভ করে ইংরেজরা।
(গ) সিরাজের কলকাতা আক্রমণের ক্ষতিপূরণ হিসাবে কোম্পানি 1 কোটি 77 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ লাভ করে ।
(ঘ) কোম্পানির বড় মাঝারি ও ছোট কর্মচারীরা প্রত্যেকেই কম-বেশি পারিতোষিক লাভ করে।
(ঙ) সব মিলিয়ে প্রায় 3 কোটি টাকার সম্পদ নবাবের কাছ থেকে ইংরেজরা লাভ করে ।নবাবের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে রাজকোষ শূন্য করে দেয়।
এই ভাবে নানাভাবে বাংলার অর্থ আদায় করতে থাকে। একেই ‘পলাশীর লুণ্ঠন’ বলা হয়।
(গ) কোম্পানি দেওয়ানি অধিকার পাওয়ার ফলে কী হয়েছিল?
উত্তর:- কোম্পানি দেওয়ানির অধিকার পাওয়ার ফলে দ্রুতই ভারতবর্ষে আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষমতা বিস্তৃত হতে থাকে। মির কাশিমের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে কোম্পানির যত টাকার খরচ হয়েছিল, দেওয়ানির অধিকারের পর সেই টাকা ফেরত পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল কোম্পানি। তাছাড়া বাংলার রাজস্ব আদায় করার আইনি অধিকার ব্রিটিশ কোম্পানিই পায়। এই অধিকার কোম্পানিকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী করে তুলেছিল।
কোম্পানির দেওয়ানি লাভের ফলে বাংলায় এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক শাসনতন্ত্র কায়েম হয়। বাস্তবে বাংলায় দুজন শাসক তৈরি হয়। একদিকে রাজনৈতিক ও নিজামতের দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে। যাবতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষারদায়িত্ব রয়ে গিয়েছিল নবাব নজম উদ দৌলার উপর। অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার পেয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানি। ফলে নবাবের হাতে ছিল অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন রাজনৈতিক দায়িত্ব এবং ব্রিটিশ কোম্পানি পেয়েছিল দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক ক্ষমতা।
আপনি যদি এই পোস্টটি পড়তে পছন্দ করেন এবং এটি সহায়ক মনে করেন দয়া করে এটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে ভাগ করুন। এই পোস্টটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনার একটি পয়সাও খরচ হবে না তবে এটি কারও দিন তৈরি করতে পারে।