প্রিয় ভবিষ্যতের নক্ষত্ররা,
‘WB Institute’  এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৮ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 8 Part 2) – এর পরিবেশ ও ভূগোল(Geography) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় খুললে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) তোমাদের জমা করতে হবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।
তোমরা প্রশ্নের উত্তর লেখার আগে নিজেরা চেষ্টা করবে যে কতখানি তোমরা নিজেরা উত্তর করতে পারছো। সর্বশেষ কোন প্রকার উত্তর না পারলে আমাদের এই পোস্টটি থেকে Geography Part 2 এর প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারো।
Table of Contents
ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ (অষ্টম শ্রেণী)
বিষয় – পরিবেশ ও ভূগোল
পূর্ণমান – ২০
February Model Activity Task Class 8 Part 2 Answer
( পরিবেশ ও ভূগোল )
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : (১×৩ = ৩)
১.১ মহীসঞরণ তত্ত্বটির প্রবক্তা হলেন—
(ক) মর্গ্যান
(খ) পির্চো
(গ) পার্কার
(ঘ) ওয়েগনার
১.২ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আন্দিজ পর্বত সৃষ্টি হয়েছে—
(ক) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে
(খ) মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
(গ) মহাসাগরীয়-মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষে
(ঘ) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় পাতের পরস্পর বিপরীতমুখী চলনে
১.৩ সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে যে প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন উঁচু ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে তাকে বলে —
(ক) গাইজার
(খ) ম্যাগমা
(গ) সুনামি
(ঘ) অগ্নম
২.১ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে মেলাও : (১x৩ = ৩)
| ‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ | 
| ২.১.১ গঠনকারী পাতসীমানা | ১. মৃত আগ্নেয়গিরি | 
| ২.১.২ পাহােহাে | ২. পরস্পর বিপরীতমুখী পাতের চলন | 
| ২.১.৩ মাউন্ট পােপা | ৩. লাভা | 
উত্তর:-
| ‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ | 
| ২.১.১ গঠনকারী পাতসীমানা | ২. পরস্পর বিপরীতমুখী পাতের চলন | 
| ২.১.২ পাহােহাে | ৩. লাভা | 
| ২.১.৩ মাউন্ট পােপা | ১. মৃত আগ্নেয়গিরি | 
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : (১x২ = ২)
২.২.১ কোন পাতসীমানায় ভূত্বকের ধ্বংস বা সৃষ্টি হয় না?
উত্তর:- নিরপেক্ষ পাতসীমানায় ভূত্বকের ধ্বংস বা সৃষ্টি হয় না l
২.২.২ কোন ভূকম্প তরঙ্গ পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্য দিয়েই প্রবাহিত হয়?
উত্তর:- প্রাথমিক ভূকম্প তরঙ্গ পদার্থের তিনটি অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় l
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (২x২ = ৪)
৩.১ অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় কেন?
উত্তর:- যেখানে দুটি পাত পরস্পরের অভিমুখে অগ্রসর হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তাকে অভিসারী পাত সীমানা বলে। যেহেতু, এই পাত সীমানায় একটি পাত (ভারী পাতটি) নিম্নগামী হয়ে অন্যটির নীচে প্রবেশ করে এবং প্রচণ্ড উষ্ণতায় গলে যায়, তাই একে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে।
৩.২ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে।
উত্তর:- ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মধ্যে দুটি পার্থক্য নিম্নে আলোচনা করা হল –
| বিষয় | ভূমিকম্পের কেন্দ্র | ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র | 
| সংজ্ঞা | ভূ-অভ্যন্তরের যে স্থান বা বিন্দুতে ভূমিকম্পের জন্ম হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। | ভূকম্প কেন্দ্রের ঠিক 90° উল্লম্ব দিকে ভূপৃষ্ঠের যে বিন্দুতে প্রথম কম্পন পৌছায় তাকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে। | 
| অবস্থান | অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে 50 থেকে 100 কিমি গভীরে হয়ে থাকে। | উপকেন্দ্র ভূপৃষ্ঠে অবস্থান করে। | 
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৩x১ = ৩)
‘প্রশান্ত মহাসাগর অগ্নিবলয়’ ভূমিকম্পপ্রবণ কেন?
উত্তর:- পৃথিবীর অধিকাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরিগুলি প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয়ের আকারে ঘিরে রয়েছে । প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতগুলি সর্বদাই চলনশীল হওয়ায় পাত সীমানায় পর্বত গঠন, নতুন ভূ-ত্বকের গঠন, পুরাতন ভূ-ত্বকের বিনাশ, অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতি হয়। অধিকাংশ আগ্নেয়গিরি পাতসীমানায় অবস্থান করার কারনে অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ হয়ে থাকে। এই কারণে প্রশান্ত মহাসাগর আগ্নিয়বলয় অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ । পৃথিবীর প্রায় 70 শতাংশ ভূমিকম্প এই বলয়ে রয়েছে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৫×১ = ৫)
কীভাবে দুটি পাতের সংঘর্ষে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয় তা চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- পাতসঞ্চালন তত্ত্ব অনুসারে- ভূ-ত্বকের গতিশীল পাতগুলির মধ্যে যেকোনো দুটি পাত যখন পরস্পর পরস্পরের কাছে চলে আসে, তখন ওই দুটি পাতের সংযোগরেখা বরাবর শিলাচ্যুতি ঘটে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের ফলে ভঙ্গিল পর্বত দুভাবে সৃষ্টি হতে পারে । যেমন –
 
(ক) প্রবল ভূ-আলোড়নের ফলে যখন দুটি মহাদেশীয় পাতসীমান্ত একে অপরের দিকে এগিয়ে আসে এবং তখন যদি দুটি মহাদেশীয় পাতের মাঝে দীর্ঘ গভীর সমুদ্র বা মহীখাত থাকে সেই সময়ে দুটি অভিসারী পাত ক্রমশ কাছে এলে মহীখাত সংকীর্ণ হয় এবং সঞ্চিত পলিরাশি ভাঁজ হয়ে উপরে উঠে যায় এর ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
 
(খ) প্রবল ভূ-আলোড়নের ফলে যখন মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাতসীমান্ত একে অপরের দিকে এগিয়ে আসে তখন অপেক্ষাকৃত ভারী মহাসাগরীয় পাত মহাদেশীয় পাতের নিচে প্রবেশ করে পাত সীমান্তে ধনুকের মতো বেকে যায়। এই পাত সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত মহিখাতের পলিরাশিতে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে সেটি ভাঁজ হয়ে উপরে উঠে যায় এবং ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। উদাহরণ – আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে রকি ও আন্দিজ পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে।
আমি আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পরে, আপনি কোনও সমস্যা ছাড়াই সমস্যাটি সমাধান করতে সক্ষম হবেন। যাইহোক, যদি কোনও সুযোগে ত্রুটিটি এখনও থেকে যায় তবে মন্তব্যে আমাকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।