উত্তর:- ভূমিকা : বাংলায় নীলবিদ্রোহের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির একাংশের যোগদান ও নীলবিদ্রোহের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন ।
▶ বুদ্ধিজীবি শ্রেণির প্রতিক্রিয়া : মধ্যবিত্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যাঁরা নীল আন্দোলনকে সমর্থন জানান, তাঁদের মধ্যে (পরে ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’র সম্পাদক) শিশির কুমার ঘোষ ও ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের নাম সর্বাগ্রগণ্য ।
▶ হিন্দু প্যাট্রিয়ট : হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভবানীপুরের বসতবাড়িটি নীলচাষিদের আদালতে পরিণত হয় । তিনি নীলচাষিদের দুর্দশার কাহিনি তাঁর পত্রিকার পাতায় দিনের পর দিন প্রকাশ করতে থাকেন ।
▶ শিশির কুমার ঘোষ : গ্রামীণ সাংবাদিক শিশির কুমার গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে নীলচাষিদের জ্বলন্ত সংবাদ সংগ্রহ করেন । ব্যারিস্টার মনমোহন ঘোষ এই পত্রিকার মাধ্যমে নীলচাষিদের সমর্থন জানান ।
▶ খ্রিস্টান মিশনারি : ১৮৬০ সালে দীনবন্ধু মিত্র এই বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি রচনা করেন । এর ইংরেজি অনুবাদ ‘Indigo Planting Mirror’- এ ভারতহিতৈষী রেভারেন্ড জেম্স লঙের নাম প্রকাশিত হলে, বিচারে তাঁর ওপর হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । তাঁর এই জরিমানার টাকা ‘মহাভারত’ – এর বিখ্যাত অনুবাদক কালীপ্রসন্ন সিংহ আদালত প্রাঙ্গণেই মিটিয়ে দেন ।
▶ আইনজীবীদের অংশগ্রহণ : বিশিষ্ট আইনজীবী শম্ভুনাথ পণ্ডিত, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখ নীলবিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করেছিলেন । তবে অধিকাংশ আইনজীবী নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি ।
╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো মনে হতে পারে, তাই আমরা এর পুরোটাই অতি সহজে এবং সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কি আপনার পরিস্থিতির সমাধান করেছি – নাকি আপনি অন্য কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন? আমাদের অবশ্যই জানাবেন।