উত্তর:- বর্তমানে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির কারণ হিসেবে পাতসংস্থান তত্ত্বকেই গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়েছে, যেমন—
(1) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় অভিমুখী পাত সঞ্চালন: এক্ষেত্রে দুটি মহাদেশীয় পাত পরস্পর মুখোমুখি অগ্রসর হয় এবং তাদের মধ্যে অবস্থান করে অগভীর এবং অপ্রশস্ত সাগর। পাতগুলি অগ্রসর হওয়ার ফলে দুটি পাতের মধ্যবর্তী অগভীর সাগরে সঞ্চিত পলিরাশি ভাঁজপ্রাপ্ত হয়ে পর্বত গঠন করে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, উত্তরের ইউরেশীয় পাত এবং দক্ষিণে ভারতীয় পাত পরস্পর মুখোমুখি চলনের সময় ভারতীয় পাতটি ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে ধাক্কা খায় ও ভারতীয় পাতটি ইউরেশীয় পাতের নীচে প্রবেশ করে। ফলে, এই দুটি পাতের সংযোগস্থলে টেথিস নামক এক অগভীর সমুদ্রের সঞ্চিত পলি ভাঁজপ্রাপ্ত হয়ে হিমালয় পর্বত গঠন করে।
(2) মহাসাগরীয়-মহাদেশীয় অভিমুখী পাত সঞ্চালন : মহাসাগরীয়-মহাদেশীয় পাত সীমানা বরাবর পাতের অভিমুখী চলনের ফলে ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নীচে চলে যায় । ফলস্বরূপ মহাসাগরীয় পাতের ওপর সঞ্চিত পলিরাশিতে প্রবল পার্শ্বচাপ পড়ে ও ভাঁজের সৃষ্টি হয়। আমেরিকার পশ্চিমভাগের রকি ও আন্দিজ পর্বতমালা এভাবেই তৈরি।
╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍
আপনি যদি এই পোস্টটি পড়তে পছন্দ করেন এবং এটি সহায়ক মনে করেন দয়া করে এটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে ভাগ করুন। এই পোস্টটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনার একটি পয়সাও খরচ হবে না তবে এটি কারও দিন তৈরি করতে পারে।