উত্তর:- বিশেষণ পদ প্রধানত তিন রকমের হয়। যথা— বিশেষ্যের বিশেষণ বা নামবিশেষণ, বিশেষণের বিশেষণ ক্রিয়াবিশেষণ।
[১] বিশেষ্যের বিশেষণ বা নামবিশেষণ :— বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম প্রভৃতি নামপদ। যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের গুণ, অবস্থা, ধর্ম, সংখ্যা, পরিমাণ প্রভৃতি প্রকাশ করে, তাকে বলা হয় বিশেষ্যের বিশেষণ বা নামবিশেষণ। নামবিশেষণকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়—
(ক) বিশেষ্যের বিশেষণ :— যে পদ দ্বারা বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রভৃতি বোঝানো হয়, তাকে বিশেষ্যের বিশেষণ বলে।
যেমন— দয়ালু ব্যক্তি, প্রাচীন সভ্যতা, বুদ্ধিমান লোক ।
(খ) সর্বনামের বিশেষণ:— যে পদ দ্বারা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রভৃতি বোঝানো হয়, তাকে সর্বনামের বিশেষণ বলে।
যেমন— মূর্খ তুমি। হতাশ আমরা।
[২] বিশেষণের বিশেষণ:— যে বিশেষণ বাক্যের অন্য কোনো বিশেষণ অর্থাৎ নামবিশেষণ বা ক্রিয়াবিশেষণের গুণ, প্রকৃতি, পরিমাণ, দোষ ইত্যাদি নির্দেশ করে, তাকেই বলা হয় বিশেষণের বিশেষণ।
যেমন— তুলতুলে নরম তুলো, ছেলেটা অতিশয় চালাক, মেয়েটির ঘন কালো চুল ।
[৩] ক্রিয়াবিশেষণ :— ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি বোঝানো হয় যে বিশেষণের দ্বারা, তাকে বলা হয় ক্রিয়াবিশেষণ।
যেমন— হনহনিয়ে যাচ্ছ কোথায়?, মেয়েটি গুনগুন করে গান গাইছে।
[৪] সর্বনামীয় বিশেষণ:— সর্বনাম পদকে যখন বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তখন তাকে সর্বনামীয় বিশেষণ বলে।
যেমন— “যত মত তত পথ।”
╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍
এই পোস্টে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হলো। তোমাদের অসুবিধা হলে তোমরা এই পোস্টের সাহায্য নিতে পারো। উত্তর গুলি খাতায় করার আগে অবশ্যই মন দিয়ে দেখে তারপর খাতায় করবে।