বিশেষ্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং ভাগগুলি লেখো ।

উত্তর:- বাংলায় এই বিশেষ্য পদের আবার বেশ কয়েকটি শ্রেণি আছে। যেমন:—

[১] ব্যক্তিবাচক বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য:— যে বিশেষ্য পদের দ্বারা কোনো ব্যক্তি, স্থান, বিষয় ইত্যাদির নাম নির্দিষ্টভাবে বোঝানো হয়, তাকে বলে ব্যক্তিবাচক বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য
যেমন:— কলকাতা, রবীন্দ্রনাথ, বিজ্ঞান।
ব্যক্তিবাচক বিশেষ্যের আবার দুটি ভাগ—প্রাণীবাচক বিশেষ্য, যেমন:— মানুষ, গোরু এবং অপ্রাণীবাচক বিশেষ্য, যেমন:— কলকাতা, বিজ্ঞান।

[২] পদার্থ বা বস্তুবাচক বিশেষ্য:— পদার্থ বা বস্তুবাচক বিশেষ্য বলতে যে-কোনো বস্তু বা বস্তুর নামকে বোঝায়। যেমন:— মাছ, ভাত, রুটি, তরকারি, পেন, খাতা ইত্যাদি।

[৩] জাতিবাচক বিশেষ্য:— যে বিশেষ্য পদের দ্বারা কোনো জাতি বা শ্রেণিকে বোঝায়, তাকে বলে জাতিবাচক বিশেষ্যযেমন:— মানুষ, পাখি, গোরু, ঘোড়া ইত্যাদি।

[8] গুণবাচক ও অবস্থাবাচক বিশেষ্য:— যে বিশেষ্য পদের দ্বারা দোষ, গুণ, প্রকৃতি, ধর্ম বা স্বভাব ইত্যাদি বোঝায়, সেই বিশেষ্য পদকে বলে গুণবাচক বিশেষ্যযেমন:— দয়া, মায়া, মমতা, গাম্ভীর্য, করুণা, স্নেহ ইত্যাদি।
অবস্থাবাচক বিশেষ্য বলতে জীবনের কোনো বিশেষ পর্বকে বোঝায়, যেমন:— শৈশব, যৌবন ইত্যাদি।

[৫] সমষ্টিবাচক বিশেষ্য:— যে বিশেষ্যের দ্বারা কোনো কিছুর সমষ্টি বোঝায়, তাকেই বলা হয় সমষ্টিবাচক বিশেষ্যযেমন:— পাল, পুঞ্জ, দল, রাজি, ঝাঁক, গোষ্ঠী ইত্যাদি।

[৬] ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য:— কোনো কাজ বা ক্রিয়া বোঝায় যে বিশেষ্যের দ্বারা, তাকেই বলা হয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যযেমন:— করা, খাওয়া, যাওয়া, ঘোরা, গমন, দর্শন ইত্যাদি।

[৭] সম্বন্ধবাচক বা সংযোগবাচক সর্বনাম:— যে সর্বনাম দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে সম্বন্ধ বোঝায় কিংবা দুটির মধ্যে সংযোগ সাধন করে, তাকে সম্বন্ধবাচক বা সংযোগবাচক সর্বনাম বলে। যেমন:— যা, যে, যার, যাকে, যিনি, যাঁর ইত্যাদি।

╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍

আপনি দি এই পোস্টটি পড়তে পছন্দ করেন এবং এটি সহায়ক মনে করেন দয়া করে এটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে ভাগ করুন। এই পোস্টটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনার একটি পয়সাও খরচ হবে না তবে এটি কারও দিন তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment