‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৬ পার্ট ১ ( Model Activity Task Class 6 Part 1) – এর পরিবেশ ও বিজ্ঞান (Science) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে অতি সহজভাবে তোমাদের জন্য মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task) জমা দেবে।
Table of Contents
জানুয়ারী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ (ষষ্ঠ শ্রেণী )
বিষয় – পরিবেশ ও বিজ্ঞান
পূর্ণমান – ২০
January Model Activity Task Class 6 Part 1 Answer
( পরিবেশ ও বিজ্ঞান )
১. শূন্যস্থান পূরণ করো : (১ × ৩ = ৩)
১.১ সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে __________ পাওয়া যায়।
উত্তর:- সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়।
১.২ সবুজ উদ্ভিদ খাবার তৈরি করার সময় পরিবেশে __________ গ্যাস ত্যাগ করে।
উত্তর:- সবুজ উদ্ভিদ খাবার তৈরি করার সময় পরিবেশে অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে।
১.৩ পাঁউরুটি তৈরি করতে লাগে এককোশী ছত্রাক __________।
উত্তর:- পাঁউরুটি তৈরি করতে লাগে এককোশী ছত্রাক ইস্ট।
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
২.১ সিল্ক কোথা থেকে পাওয়া যায় ?
উত্তর:- সিল্ক পাওয়া যায় রেশম মথ থেকে।
২.২ পরাগমিলনে সাহায্য করে এমন একটি প্রাণীর নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- পরাগমিলনে সাহায্য করে এমন একটি প্রাণীর নাম হল প্রজাপতি।
২.৩ মানুষের দেহে বাস করে এমন একটি পরজীবীর নাম লেখো।
উত্তর:- মানুষের দেহে বাস করে এমন একটি পরজীবীর নাম হল ফিতাকৃমি।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : (২ × ৪ = ৮)
৩.১ জামাকাপড়ের জন্য মানুষ কীভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর:- জামা কাপড় তৈরি করার জন্য মানুষ গাছের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। কার্পাস, শিমুল, পাট ইত্যাদি গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে তন্তু তৈরি হয় । সেইসব তন্তু দিয়েই তৈরি হয় সুতো। আর সেই সুতো দিয়ে তৈরি হয় অনেক দামী দামী পোশাক ।
৩.২ “প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে” – দুটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- “প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে” – তার দুটি উদাহরণ হল –
(১) প্রাণী দের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেই অক্সিজেন উদ্ভিদের কাছ থেকেই পায় ।
(২) বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে যেমন সিঙ্কোনা, সর্পগন্ধা, তুলসী, বাসক গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নানান রকম ঔষধি দ্রব্য তৈরি হয় ।
৩.৩ মানুষ খাবারের জন্য কীভাবে প্রাণীদের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর:- মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের জন্য উদ্ভিদের ওপর প্রচণ্ড ভাবে নির্ভর করে । প্রতিদিনের ব্যবহার করা চাল ধান গাছ থেকে পাওয়া যায় । তাছাড়া আটা ও বিভিন্ন সবজি উদ্ভিদের -ই অংশবিশেষ । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মসলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলের জন্য মানুষকে উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়।
৩.৪ বর্তমানে চাষের কাজে কেন নানারকম যন্ত্রপাতি প্রাণীদের জায়গা নিচ্ছে ?
উত্তর:- চাষের কাজে লাঙল-চষা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি কমানোর জন্য নানা প্রাণীদের কাজে লাগানো হতো। ফলে চাষের কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমানে চাষের কাজে পশুদের জায়গা নিয়েছে নানারকম যন্ত্রপাতি। কারণ পশুদের বিশ্রাম প্রয়োজন কিন্তু যন্ত্রপাতি একটানা অনেকক্ষণ কাজ করতে পারে।
পশুর তুলনায় যন্ত্রপাতির সাহায্যে অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায়। তাই চাষের কাজে বর্তমানে নানা রকম যন্ত্রপাতি প্রাণীদের জায়গা নিচ্ছে ।
৪. তিন – চারটি বাক্যে উত্তর দাও : (৩ × ২ = ৬)
৪.১ “উদ্ভিদরা প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্ভর করে” –একটি উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:- উদ্ভিদ ও প্রাণী দের উপর নানাভাবে নির্ভর করে । নিম্নে কতগুলো অনেকগুলি উদাহরণের মাধ্যমে তা বোঝানো হলো –
(১) গাছের পরাগমিলন এ মৌমাছি, প্রজাপতি প্রভৃতি পতঙ্গ এবং হামিংবার্ডের মত পাখিরা সাহায্য করে। নতুন উদ্ভিদ তৈরীর জন্য পরাগমিলন খুবই জরুরী।
(২) গাছের বংশবিস্তারে বিভিন্ন পাখি কুকুর বাদর ইত্যাদি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে । এই সমস্ত প্রাণীরা খাবার খেয়ে বীজ দূরে ছড়িয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ তার শরীরের সঙ্গে গাছের ফল আটকে দূরে ছড়িয়ে দেয়।
(৩) উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ অর্থাৎ খাদ্য তৈরীর জন্য প্রয়োজন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস । প্রাণীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করে যা উদ্ভিদ গ্রহণ করে ।
উপরের তিনটি উদাহরণ থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় যে উদ্ভিদ প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
৪.২ “ধানখেতে অ্যাজোলা চাষ করলে আর সার দিতে লাগে না ” — ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- আসলে অ্যাজোলা হলো এক ধরনের পানা । অ্যাজোলার পাতার মধ্যে এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়া বাস করে । এই ব্যাকটেরিয়া বাতাসের নাইট্রোজেন কে বেঁধে ফেলে সার তৈরি করতে পারে । তাতে অ্যাজোলার উপকার হয় । কারণ সারের জন্য নাইট্রোজেন লাগে । আর অ্যাজোলা তার পাতায় ওই ব্যাকটেরিয়াকে থাকবার জায়গা দেয় । এতে দুজনেরই বোঝাপড়া থাকে ফলে দুজনেরই উপকার হয় । তাই ধানক্ষেতে অ্যাজোলা চাষ করলে সার দেওয়ার প্রয়োজন হয়না।
আমি আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পরে, আপনার সমস্যার সমাধান হবে। যাইহোক, যদি এটি এখনও বিদ্যমান থাকে তবে দয়া করে আমাকে নীচের মন্তব্যে জানান।