”খেলা মোদের লড়াই করা, খেলা মোদের বাঁচা মরা, খেলা ছাড়া কিছুই কোথাও নাই ।”
▪ ভূমিকা:— ছাত্রজীবন হল ভবিষ্যৎ গঠনের ভিত্তি। ভবিষ্যৎ মানে শুধুই আর্থিক নিশ্চয়তা নয়, সুস্থতারও নিশ্চয়তা। সুস্থ শরীর থাকলে তবেই মানুষ নিজের জীবনকে উপভোগ করতে পারে। তাই সুস্থ ও নীরোগ ভবিষ্যতের জন্য বিদ্যালয় জীবন থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ভূমিকা অপরিহার্য।
▶ শরীরচর্চা ও খেলাধুলা:— ছাত্রজীবন শরীর গঠনের সেরা সময়। এই কারণে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের পাঠক্রমেও গৃহীত হয়েছে শরীরচর্চা ও খেলাধুলোর বিষয়টি। ড্রিল, ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, যোগব্যায়াম প্রভৃতির মাধ্যমে ছাত্রাবস্থা থেকেই স্বাস্থ্যরক্ষার দিকে উৎসাহিত করে তোলা হয়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলো কেবল স্বাস্থ্য গঠন করে না, চারিত্রিক গঠনও সুদৃঢ় করে। খেলোয়াড়সুলভ উদারতা, সুস্থ প্রতিযোগিতা, পারস্পরিক সহযোগিতার অভ্যাস তৈরি করে খেলাধুলা ।
▶ শিক্ষায় খেলাধুলার প্রভাব:— খেলাধুলাকে বাদ দিয়ে সুস্বাস্থ্য ও দৃঢ় চরিত্রগঠন অসম্ভব। খেলার মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্ফূর্তি হয়। খেলাধুলা পড়াশোনাতে মন বসানোয় সহায়ক হয়ে ওঠে। এ ছাড়া পড়াশোনা করতে গিয়ে বইতে শেখা তত্ত্ব, যেমন— সৌহার্দ্য, দলগত ঐক্য, মূল্যবোধ, খেলোয়াড়সূচক মনোভাব, হাল-না- ছাড়া ইত্যাদির বাস্তব প্রয়োগ হয় খেলাধুলার মাধ্যমে।
▶ বিদ্যালয়ে খেলাধুলার বাধা:— বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত হলেও এখনও পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে তার প্রয়োগে কিছু বাধা লক্ষ করা যায়। প্রথমত, মাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় শরীরচর্চা ও খেলা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক একে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। বিদ্যালয়গুলিতে শরীরচর্চার উপযুক্ত যন্ত্রপাতি বা বিভিন্নরকম খেলাধুলার সরঞ্জাম কেনার উৎসাহ তথা অর্থ—দুই-ই অপ্রতুল। এ ছাড়া বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে যথেষ্ট শ্রেণিকক্ষ বা খেলার মাঠ নেই। গ্রামগঞ্জে অথবা শহরে অভিভাবকদের অশিক্ষা অনেকসময়েই মেয়েদের শরীরচর্চা ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দারিদ্র্যের ফলে ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিকর খাদ্য ও সুষম আহারের অভাব তাদের মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করে। ফলে তারা খেলাধুলায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। যদিও বর্তমানে বিদ্যালয়গুলিতে মিড-ডে-মিল প্রকল্প ছাত্রছাত্রীদের একবেলা সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে, তবুও মাত্র একবেলার আহার তাদের খেলাধুলার উপযুক্ত শক্তি দিতে অসমর্থ।
▪ উপসংহার:— বিদ্যালয় স্তরে খেলাধুলার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দরকার হলে আবার আগের মতো মাধ্যমিক পর্যন্ত শরীরচর্চা ও খেলাধুলাকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে পাঠক্রমে রাখতে হবে। বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে অভিভাবকদের ছাত্রজীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যালয় স্তর থেকে খেলাধুলায় পারদর্শী ছাত্র বা ছাত্রীকে সন্ধান করে তাকে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুঠাম স্বাস্থ্য ও নীরোগ জীবনের অধিকারী হতে পারবে।
╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। যাইহোক, এটি মোটেই নয় কারণ আপনি উপরে উল্লিখিত ধাপে ধাপে লেখা উত্তরগুলি অনুসরণ করে এটি সমাধান করতে পারেন।যদি আপনি আপনার সমস্যা থেকে সমাধান না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের অবশ্যই জানাবেন।