উত্তর:- ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই বাংলা সাহিত্যে সাধু ও চলিতরীতির ব্যবহার প্রায় সমান্তরালভাবে হতে থাকে। বাংলা গদ্যের প্রথম যুগে চলিত ভাষার তুলনায় সাধু ভাষার চল ছিল অনেক বেশি। পরবর্তীকালে শরৎচন্দ্র প্রমুখ সাহিত্যিকদের প্রচেষ্টায় সাধু গদ্য ক্রমশ সরলীকৃত হয়ে মৌখিক গদ্যের কাছাকাছি আসে। অন্যদিকে চলিত গদ্য আঞ্চলিকতার গণ্ডি পেরিয়ে প্রমথ চৌধুরী প্রমুখ বিদগ্ধ লেখকের হাতে মার্জিত হয়ে উঠেছে। ফলে এখন সাধুরীতির গদ্য এবং চলিতরীতির গদ্যের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশ কমে এসেছে। বর্তমানে সাধু ও চলিতরীতির মধ্যে ভাষাতাত্ত্বিক পার্থক্য শুধু নীচের ক্ষেত্রগুলিতেই লক্ষ করা যায় —
(১) সাধারণত সাধু ভাষার শব্দভাণ্ডারে তৎসম শব্দ বেশি, কিন্তু চলিত ভাষায় তদ্ভব ও দেশি-বিদেশি শব্দের আধিক্য বেশি।
(২) সমাসবদ্ধ পদের সংখ্যা সাধু ভাষায় বেশি, চলিত ভাষায় কম।
(৩) সাধু ভাষায় সর্বনামের পূর্ণ ও বিস্তৃত রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন:— তাহা, যাহা, তাহার, যাহার, ইহা, উহা ইত্যাদি। চলিত ভাষায় অনেক সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়, যেমন:— তা, যা, তার, এর, ওর ইত্যাদি।
(৪) কথ্য ভাষায় প্রচলিত প্রবাদ প্রবচন ও বিশিষ্টার্থক পদগুচ্ছ চলিত ভাষায় সহজেই স্থান পেতে পারে। সাধু ভাষায় সেগুলির প্রয়োগ বিরল ।
(৫) সাধু ভাষায় বাক্যে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া— এই বিন্যাসক্রম সাধারণত লঙ্ঘন করা হয় না। চলিত ভাষায় বাক্যে পদের বিন্যাস ততটা যান্ত্রিক নয়, অনেক নমনীয়।
╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো মনে হতে পারে, তাই আমরা এর পুরোটাই অতি সহজে এবং সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কি আপনার পরিস্থিতির সমাধান করেছি – নাকি আপনি অন্য কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন? আমাদের অবশ্যই জানাবেন।