‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৬ পার্ট ১ ( Model Activity Task Class 6 Part 1) – এর বাংলা (Bengali) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task) জমা দেবে।
Table of Contents
জানুয়ারী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ ( ষষ্ঠ শ্রেণী )
বিষয় – বাংলা
পূর্ণমান – ২০
January Model Activity Task Class 6 Part 1 Answer
( বাংলা )
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : (১ × ৩ = ৩)
১.১ খোলের মধ্যে বোঝাই করা রয়েছে
(ক) ধান
(খ) আলু
(গ) গম
(ঘ) শুকনো খড়ের আঁটি
১.২ নদীর ধারে রয়েছে
(ক) অশ্বত্থ গাছ
(খ) রাখাল
(গ) একটি বড়ো নৌকো
(ঘ) পথিক
১.৩ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি কাব্যগ্রন্থ হলো
(ক) নীল নির্জন
(খ) যেতে পারি কিন্তু কেন যাব
(গ) প্রান্তরেখা
(ঘ) ছড়ানো ঘুঁটি
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
২.১ ‘ভরদুপুরে’ শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তর:- ‘ভরদুপুরে’ শব্দটির অর্থ হলো মধ্যাহ্ন।
২.২ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে কী দেখছে ?
উত্তর:- ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে দেখছে মেঘগুলি আকাশটাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
২.৩ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় বর্ণিত ‘গালচে’ টি কী দিয়ে প্রস্তুত ?
উত্তর:- ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় বর্ণিত ‘গালচে’ টি নরম ঘাস দিয়ে প্রস্তুত।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (৩ × ৩ = ৯)
৩.১ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘অশ্বত্থ’ গাছটিকে ‘পথিকজনের ছাতা’ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তর:- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় ‘অশ্বত্থ গাছ’ ছাতার মতাে পথিকজনকে ছায়া দেয় বলে অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে। কারন- একটি ছাতা যেমনভাবে ঝর-বৃষ্টি-রোদে আমাদের রক্ষা করে, ঠিক তেমনভাবেই কবিতায় বর্ণিত ‘অশ্বত্থ’ গাছটি তাঁর ডালপালা দ্বারা পথিকদের ছাতার মতো আশ্রয় ও ছায়া দিয়ে রক্ষা করেছে।
৩.২ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় নদীর ধারের চিত্রটি কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে ?
উত্তর:- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় নদীর ধারে শুকনাে খড়ের আটি বােঝাই করা, বড়াে নৌকাটি দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য ভরদুপরে কবিতায় ফুটে উঠেছে।
৩.৩ ‘আঁচল পেতে বিশ্বভুবন / ঘুমোচ্ছে এইখানে’ । — কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেন ?
উত্তর:- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘ভরদুপুরে’ কবিতা থেকে নেওয়া এই ‘আঁচল পেতে বিশ্বভুবন/ঘুমোচ্ছে এইখানে’ কথাটির মাধ্যমে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এক গ্রাম্য দুপুরের কথা বলতে চেয়েছেন।
‘ভরদুপুরে’ কবিতায় আমরা রাখাল বালককে, নৌকার মাঝিদের এবং লােকজনকে যে যার জায়গায় বিশ্রাম নিতে বা ঘুমােতে দেখেছি। মানুষের সঙ্গে সারা প্রকৃতিও যেন মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে, কারণ সবকিছুই নিরব নিস্তব্ধ। তাই সেই ছবি দেখে কবির মনে করেছেন যেন বিশ্বভূবন ঘুমােচ্ছে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : (৫)
‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার যে অলস দুপুরের ছবি ফুটে উঠেছে তার পরিচয় দাও ।
উত্তর:- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা ‘ভরদুপুরে’ কবিতার মাধ্যমে কবি এক গ্রামবাংলার অলস দুপুরের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতাটিতে অত্যন্ত সুন্দর নিসর্গচিত্রের পরিচয় পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ কবিতাটিতে শান্তি, বিশ্রাম ,কোলাহল বিহীন এক গ্রামবাংলার দুপুরের কথা বলা হয়েছে। যেখানে শান্তিতে রাখাল আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখছে মেঘগুলি কেমনভাবে আকাশকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সেখানেই নিজের ইচ্ছামত শান্তিতে চড়ে বেড়াচ্ছে গরু-বাছুর। চারপাশ জনমানব শূন্য, কেবল হালকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষজন যে যার মতো নিজের ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছেন। নদীতে খড় বোঝাই নৌকা বাঁধা রয়েছে।
কবির দেখেছেন বিশ্বের সব শান্তি যেন সেখানেই বিরাজ করেছে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন তার মায়ের কোলে পৃথিবী ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে ।কবি কবিতাটিতে গ্রামবাংলার এক মধ্যাহ্নের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রিয় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র- ছাত্রীরা উপরের January Class 6 Model Activity Task Part 1 এর সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন-উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আশা রাখছি তোমাদের বা আপনাদের অনেকখানি সহায়তা করতে পেরেছি। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের শেয়ার করে তাদের সহায়তা করো বা করুন।