‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ পার্ট ১ ( Model Activity Task Class 7 Part 1) – এর বাংলা (Bengali) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,
পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task) জমা দেবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।
Table of Contents
জানুয়ারী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ (সপ্তম শ্রেণী )
বিষয় – বাংলা
পূর্ণমান – ২০
January Model Activity Task Class 7 Part 1 Answer
( বাংলা )
১. ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখাে : (১ x ৩ = ৩)
১.১ ছন্দে বাঁধা –
(ক) পাখির ডাক
(খ) রাত্রি-দিন
(গ) ঘড়ির কাঁটা
(ঘ) নৌকো জাহাজ
১.২ জীবন হবে ________________ -শূন্যস্থানে হবে
(ক) স্বপ্নময়
(খ) দ্বন্দ্বময়
(গ) কাব্যময়
(ঘ) পদ্যময়
১.৩ দিন দুপুরে ________________ ডাকে’ –শূন্যস্থানে হবে
(ক) ঝিঝির
(খ) পাখির
(গ) গাড়ির
(ঘ) ঝড়ের
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : (১ x ৩ = ৩)
২.১ ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় কবি কোন্ কথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর:- কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি মন্দ কথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন।
২.২ ‘ছন্দ শােনা যায় নাকো। কখন ছন্দ শােনা যায় না?
উত্তর:- কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবির মনে হয়েছে- সমস্ত দ্বন্দ্ব বিবাদ, হিংসা, দ্বেষ ভুলে না গেলে মন দিয়ে ছন্দ শােনা যায় না।
২.৩ কেউ লেখেনি আর কোথাও।’ – কোন্ প্রসঙ্গে করি একথা বলেছেন?
উত্তর:- কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি অনুভব করেছেন, নদীর আপন মনে বয়ে চলার মধ্যে যে ছন্দ আছে, তা অপূর্ব। এর আগে এমন ছন্দ ,এমন ছাড়া আর কেউ লেখেনি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (৩ x ৩ = ৯)
৩.১ ‘মনের মাঝে জমবে মজা।’ – মনের মধ্যে কীভাবে মজা জমে ওঠে?
উত্তর:- কবি অজিত দত্ত ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় কবি জানিয়েছেন, আমাদের জীবন হলাে ছন্দময়। জীবনের এই সহজ ছন্দ বুঝতে হলে কানকে সজাগ রাখতে হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, যাদের মধ্যে অপূর্ব ছন্দের দোলা আছে। যেমন- নদীর আপন বেগে বয়ে চলা,পাখির অপূর্ব গান, সন্ধ্যাবেলা ঝিঝি পােকার ডাক। এদের মধ্যে রয়েছে সন্দেহ অপূর্ব খেলা। যে মানুষ তার কানকে সজাগ রাখতে জানে, আর সেটি সম্ভব হলে মনের মধ্যে জেগে ওঠে অদ্ভুত এক মজা বা আনন্দ।
৩.২ ‘পদ্য লেখা সহজ নয়’ – পদ্য লেখা কখন কঠিন হয়ে ওঠে?
উত্তর:- কবি অজিত দত্ত ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ নামাঙ্কিত কবিতায় কবি জানিয়েছেন, সকলেই পদ্য লিখতে পারে না। গদ্য লেখা সহজ। কিন্তু অসাধারণ পদ্য লেখা বেশ কঠিন। কেননা তার জন্য ছন্দ সম্পর্কে সহজ অনুভূতি থাকা দরকার। ছন্দে তাল সম্পর্কে বােধ দরকার। আর সেই জন্য পদ্য লেখা সহজ নয়।
৩.৩ ‘চিনবে তার ভুবনটাকে’ – কীভাবে ভুবনকে চেনা সম্ভব হবে?
উত্তর:- কবি অজিত দত্ত রচিত ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি বলেছেন, পৃথিবী ছন্দহীন নয়, পৃথিবীর সব কিছুতে ছন্দ আছে। সেইসব ছন্দকে মন-প্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। আমাদের শ্রবণযন্ত্র যে কোন অনুভুতি কে ধরতে পারে। আসলে মানুষ যদি মন দিয়ে শােনে এবং উপলব্ধি করে তবে তারা যেকোন বিষয়ের মধ্যে ছন্দের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে। আর তখন ভুবনটাকে চেনা সম্ভব হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : (৫)
‘কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন। – ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ কবিতায় কবি সমস্ত কিছুর মধ্যে কীভাবে ছন্দের সন্ধান পেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:- কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি জীবন ও প্রকৃতির সর্বত্রই যে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন যেটা তিনি এই কবিতার দ্বারা তার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কৃতির সব কিছুই ছন্দে বাঁধা। জগতের কোন কিছুই ছন্দহীন নয় ।
কবি মনে করেন, আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রিত হয় অদ্ভুত এক ছন্দের দোলায়। জীব জগতের মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত এক ছন্দের দোলা। এমনকি জড় জগতের মধ্যেও রয়েছে ছন্দের খেলা। কবি বিষয়টিকে বােঝাতে গিয়ে জানিয়েছেন – পাখির ডাকের যেমন ছন্দ আছে নদীর বয়ে চলার মধ্যেও তেমন সহজ ছন্দ রয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে, জ্যোৎস্নায়, দুপুরের পাখির ডাকে, রাতের ঝিঁঝি পোকার শব্দে, নদীর স্রোতে, মোটর চাকার ঘুর্ণনে, রেলগাড়ির এগিয়ে চলার শব্দে, নৌকা জাহাজের ভেসে যাওয়ায় শব্দে, ঘড়ির কাঁটার আওয়াজে,দিন-রাত্রির আবর্তনে সর্বত্রই তিনি ছন্দকে খুঁজে পেয়েছেন। কবি এইভাবেই ‘কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন। – ‘ছন্দে শুধু কান রাখাে’ – এই বাক্যটির এক সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।
তোমরা সবার আগে অবশ্যই নিজে করার চেষ্টা করবে। তারপর কোনরকম অসুবিধা হলে তোমরা আমাদের সাজানো উত্তরের সাহায্য নিতে পারো। উত্তরগুলি খাতায় তোমরা করার আগে অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে তারপর লেখা শুরু করবে।