‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৮ পার্ট ১ ( Model Activity Task Class 8 Part 1) – এর বাংলা (Bengali) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task) জমা দেবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে। প্রয়োজনে তোমরা শিক্ষক- শিক্ষিকার সাহায্য নিতে পারো।
Table of Contents
জানুয়ারী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ ( অষ্টম শ্রেণী )
বিষয় – বাংলা
পূর্ণমান – ২০
January Model Activity Task Class 8 Part 1 Answer
( বাংলা )
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : (১x৩ = ৩)
১.১ ‘বােঝাপড়া’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে —
(ক) পুনশ্চ
(খ) খেয়া
(গ) শেষলেখা
(ঘ) ক্ষণিকা
১.২ ‘অনেক _______ কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরেতে’ – শূন্যস্থানে বসবে
(ক) ঝগড়া
(খ) শঙ্কা
(গ) ঝঞ্ঝা
(ঘ) অশ্রু
১.৩ ‘আকাশ তবু _______ থাকে’ – শূন্যস্থানে বসবে
(ক) ডাগর
(খ) সুনীল
(গ) আঁধার
(ঘ) মস্ত
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : (১x৩ = ৩)
২.১ ‘কতকটা এ ভবের গতিক’ – ‘ভবের গতিক’টি কী?
উত্তর:- উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত “বােঝাপড়া” কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে ৷
কবি বলেছেন আমাদের কেউ ভালোবাসে, কেউ বাসে না, কাউকে দেখা যায় সর্বস্ব বিকিয়ে দিতে আবার কেউ সিকি পয়সা ধার দেয় না। কবি এটাই ভবের অর্থাৎ পৃথিবীর গতিক।
২.২ ‘চলে আসছে এমনি রকম’ – কোন্ সময়ের কথা কবি এক্ষেত্রে স্মরণ করেছেন?
উত্তর:- মানুষের ভাগ্য চিরদিন একইরকম থাকে না। প্রত্যেক মানুষই একে অপরকে কখনো না কখনো ফাঁকি দেয়। তাই একজন মানুষ কিছুটা সুখ ভােগ করার পরেই আসে দুঃখ, তখন হয়তাে অপর ব্যাক্তি সুখ ভােগের সৌভাগ্য লাভ করে। মানুষের উদ্ভবের আদিকাল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে।
২.৩ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কোন্ বিষয়টিকে সবার চেয়ে শ্রেয় মনে করা হয়েছে?
উত্তর:- উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কারাে সঙ্গে কোনাে রকম বিবাদ না করে ভালাে মন্দ যাই আসুক মেনে নিয়ে এগিয়ে চলাকেই শ্রেয় বলেছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (৩ x৩ = ৯)
৩.১ ‘তবু ভেবে দেখতে গেলে’ – কবি কী ভেবে দেখার কথা বলেছেন?
উত্তর:- কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত “বােঝাপড়া” কবিতায় কবি বলেছেন জগতে কেউ কারো মত হুবহু এক বৈশিষ্টের হয় না। তবুও সবাই একে অপরকে পিছনে ফেলে এগোতে চায়। তাই কবি ভেবে দেখতে বলেছেন, যে খুশির জন্য আমরা এমন করি তা তো একজনের প্রতি ভালোবেসে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।
৩.২ ‘শঙ্কা যেথায় করে না কেউ | সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি’। – উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:- কবিগুরু বলেন জীবনে বহু দুঃখ কষ্ট, ঝড় ঝঞ্ঝার, বাধা-বিপত্তির পরে পাওয়া সুখ কখন কোন আঘাতে যে নষ্ট হয়ে যাবে তা আমরা কেউ জানি না।এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করিনা অথচ সেটাই অপ্রত্যাশিত ভাবে আঘাত হানতে পারে। এই জন্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘বােঝাপড়া’ কবিতায় এই আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
৩.৩ ‘দোহাই তবে এ কাৰ্যটা / যত শীঘ্র পারাে সারাে। – কবি কোন্ কাৰ্যটা দ্রুত সারতে বলেছেন?
উত্তর:- উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে বিশ্ব বন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বােঝাপড়া কবিতা থেকে l তমসাচ্ছন্ন জীবনের জন্য বিধাতাকে দায়ী করা ঠিক নয় l কবি ‘এ কাৰ্যটা’ বলতে অযথা হাহাকার করে সময় নষ্ট করার কথা বলেছেন l কবির মনে হয়েছে, এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বমনের মধ্যে না রাখাই ভালাে l
জীবনে বিপর্যয়ের মেঘ ঘনিয়ে আসলে মানুষ নিজের ভাগ্যকেই দোষী মনে করে। অর্থাৎ সে অদৃষ্ট নির্ভর হয়ে পড়ে। কিন্তু এতে নিজের ক্ষতি উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পায়। তাই কবি ভাগ্যের দোহাই ছেড়ে যতখানি সম্ভব নিজের উদ্যোগে এগিয়ে চলার উপদেশ দিয়েছেন।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : (৫)
‘ভালাে মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে।
পঙক্তিদুটি ‘বােঝাপড়া’ কবিতায় কতবার ব্যবহার করা হয়েছে? এমন পুনরাবৃত্তির কারণ কবিতাটির বিষয়বস্তুর আলােকে বিশ্লেষণ করাে। (১+৪)
উত্তর:-
➣ প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বােঝাপড়া” কবিতায় আলোচ্য পঙক্তিদুটি পাঁচবার ব্যবহার করা হয়েছে।
➣ কবি বলেছেন, কোনােরকম বিবাদ-বিতর্ক-ঝগড়া না করে নিজের মতাে চলা ভালাে। যেটা সত্য বলে মনে হয় তাকে গ্রহণ করার মধ্যে জীবনের অন্য আর এক আনন্দ আছে। তাই উদ্ধৃত পঙক্তিদুটির মধ্য দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন পরিস্থিতি যতই খারাপ হোকনা, সত্য কে সত্য বলেই গ্রহন করতে হবে।
তাই কবি বার বার লিখেছেন— ‘ভালাে মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে’।
চলার পথে সমস্যা থাকলেও সেই ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি এগিয়ে যাওয়া যায়, তবেই একসময় এ জীবন অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে। কবি এসব বাস্তব কথা গুলাে বলার পর পরই আমাদের বলেছেন এই বাস্তব সত্য গুলিকে মেনে নিতে, তাই কবি প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি ব্যবহার করেছেন।
আশা করছি উপরের পোস্টটি তোমার বা আপনার প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কাজে অনেকখানি সাহায্য করেছে। যদি এই পোস্টটি তোমার জন্য বা আপনার জন্য সহায়তা করে থাকে তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই বন্ধুদের, আর অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।