Model Activity Task Part 2 Class 7 Bengali February 2022

‘WB Institute’  এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 7 Part 2) – এর বাংলা (Bengali) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 

আমাদের প্রিয় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা যেন বাড়ির বাইরে না বের হয় ।

Table of Contents

ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৭ (সপ্তম শ্রেণী)

বিষয় – বাংলা

পূর্ণমান – ২০


February Model Activity Task Class 7 Part 2 Answer

( বাংলা )

১. ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখাে : (১x৩ = ৩)

১.১ ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের ঘটনাকাল – 

(ক) ২০২২ খ্রিস্টাব্দ

(খ) ১০৮ খ্রিস্টাব্দ 

(গ) ২০৮৯ খ্রিস্টাব্দ

(ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ 

১.২ ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স – 

(ক) ২০ বছর

(খ) ৩০ বছর 

(গ) ৫০ বছর

(ঘ) ১৫০ বছর 

১.৩ বায়ােকেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল – 

(ক) এভারেস্টের চূড়ায়

(খ) রূপকুন্ডে 

(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘায় 

(ঘ) গঙ্গোত্রীতে 

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :  (১x৩ = ৩)

২.১ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে।’- কোন বিষয়ের ব্যতিক্রম? 

উত্তর:- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত ‘পাগলা গণেশ’ গল্পে দেখা যায় মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে সৌন্দর্য, দয়া-মায়া – করুণা প্রভৃতির অনুভূতি এবং মানুষের জীবনে এসবের চর্চাও আর হয় না। এই সকল  বিষয়ে ব্যতিক্রমী হিসাবে পাগলা গণেশের কথা বলা হয়েছে।

২.২ ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?’– কারা একথা বলেছিল?

উত্তর:- শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগলা গনেশ নামাঙ্কিত গদ্যে লাসা থেকে আসা দু’জন পাখাওলা লােক উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।

২.৩ ‘পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক।’- কোন কাজটি করা আবশ্যিক? 

উত্তর:- এখানে মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তােলা শক্ত কাজ তাে নয়ই, বরং পৃথিবর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক বলা হয়েছে।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (৩x৩ = ৯)

৩.১ ‘তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি।’- কোন বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি? 

উত্তর:- উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত।

এই পৃথিবীর সুদূর ভবিষ্যৎ, ৩৫৮৯ সালে দেখা যায় পৃথিবীর মানুষ বৈজ্ঞানিক উন্নতির চরম নিদর্শন স্বরূপ চাঁদ, মঙ্গল, শুক্র গ্রহে ল্যাবরটরি তৈরি করে ফেলেছে। এক দেড়শো বছর আগে থেকে মানুষ মহাকাশে রওনা দিয়েছে। যারা আকাশের অনেক দূর-দূরান্তে পাড়ি দিয়েছে তাদের ফিরে আসার সঠিক সময় জানা যায়নি। এরই মধ্যে এক দেড়শো বছর আগে যারা জন্মেছিল, মৃত্যুঞ্জয় টনিকের প্রভাবে তাদের তখনও মৃত্যু হয়নি। বহু বছর আগে যারা মহাকাশে গেছে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় বহু মানুষ বেঁচে আছে। মহাকাশের জন্য শত শত  দূর-দূরান্তে যাওয়া এবং ফিরে আসার জন্য শত শত বৎসর অপেক্ষা করতে  করতে পৃথিবীর মানুষ হাল ছাড়েনি।

৩.২ ‘খামােখা সময় নষ্ট। কোন প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত ।

৩৫৮৯ সালে দেখা যায় পৃথিবীর সমস্ত ঘরে ঘরে মানুষ বিজ্ঞানচর্চা  নিয়ে বুঁদ হয়ে আছে। এই পৃথিবীতে আছে শুধু বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান। প্রতি ঘরেই, প্রত্যেকেই কোনো না কোন বিজ্ঞানী।  বিজ্ঞান চর্চা ছাড়া অন্য কোনো চর্চায় কেউ মাথা ঘামায় না। এছাড়া অন্য কোনো না কোন মানুষজন মনে করে কবিতা, গান, ছবি আঁকা, সাহিত্যচর্চা, নাটক, সিনেমা, খেলাধুলা এসব নিয়ে চর্চা বাস্তব জীবনে কোনো কাজে লাগে না, তাই তাদের মনে হয়েছে এসব চর্চা করা মানে খামোখা সময় নষ্ট। এভাবেই বিজ্ঞান চর্চার বাড়বাড়ন্ত ভবিষ্যতে মানুষের শিল্প-মনকে,শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চাকে ধ্বংস করে দেবে এই প্রসঙ্গেই কথাটি বলা হয়েছিল ।

৩.৩ ‘গণেশের ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি। কোন ব্যাপারটি গণেশ পছন্দ করেনি? 

উত্তর:- উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত ‘পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত।

পৃথিবীর সুদূর ভবিষ্যৎ, ৩৫৮৯ সালে দেখা যায় পৃথিবীতে শিল্প-সাহিত্য-সংগীত বলে কিছু নেই, আছে শুধু বিজ্ঞান কিন্তু একদিনে পৃথিবীর এই দশা হয়নি। দেড়শ বছর আগে থেকেই পৃথিবীতে সুকুমার শিল্প বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ধীরে শিল্প -সাহিত্য পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এভাবে  শিল্পের ধ্বংসসাধন হওয়ার ব্যাপারটি গণেশের পছন্দ হয়নি।

৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : (৫)

‘পাগলা গণেশ’ গল্পে গণেশকে ‘পাগলা’ মনে করা কতদূর যুক্তিসঙ্গত বলে তুমি মনে করো?

উত্তর:- প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত ‘পাগলা গণেশ’ গল্পটির কেন্দ্রিয় তথা প্রধান চরিত্র গণেশ যাকে তথাকথিত ‘পাগলা গণেশ‘ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার আমরা সমগ্র গল্প পর্যালােচনার মাধ্যমে গণেশকে ‘পাগলা’ মনে করা কতটা যুক্তিসংগত তা আলােচনা করব।

৩৫৮৯ সালে জগৎ যখন উত্তর – আধুনিক হয়ে আরও নতুন পথে চলেছে, তখন গণেশ দিব্যি কবিতা নিয়ে ব্যস্ত l বিজ্ঞানের প্রাণহীন গবেষণা তার পছন্দ নয়। বরং সে শিল্পকে বাঁচাতে ব্যস্ত l কলকাতার সায়েন্স কলেজের শিক্ষক হয়েও শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়নি। বরং দেখতে চেয়েছিল – পৃথিবীটা যেন সুন্দর হয়ে ওঠে। তার জন্যে গান চাই, কবিতা চাই, ছবি চাই। এজন্যে গণেশের শিল্প সাধনাকে তার সময়ের প্রেক্ষিতে অন্যদের মনে হয়েছে পাগলের কার্যকলাপ l এই জন্যে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘পাগলা গণেশ‘ নামে।

অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো মনে হতে পারে, তাই আমরা এর পুরোটাই অতি সহজে এবং সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কি আপনার পরিস্থিতির সমাধান করেছি – নাকি আপনি অন্য কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন? আমাদের অবশ্যই জানাবেন।

Leave a Comment