ভূকম্পীয় তরঙ্গের শ্রেণিবিভাগ করে বৈশিষ্ট্য লেখো?

উত্তর:- ভুকম্পীয় তরঙ্গের শ্রেণিবিভাগ –
ভূমিকম্পের ফলে উৎপন্ন তরঙ্গকে ভূকম্পীয় তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভুকম্পীয় তরঙ্গগুলি প্রধানত 3 প্রকারের হয়। যথা—
(i) P তরঙ্গ বা প্রাথমিক তরঙ্গ, (ii) s তরঙ্গ বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বা গৌণ তরঙ্গ, (iii) L তরঙ্গ বা পৃষ্ঠতরঙ্গ। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে দেওয়া হল—

(i) P তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যগুলি হল:- P তরঙ্গ সর্বপ্রথমে সৃষ্টি হয়।এই তরঙ্গের গতিবেগ সবথেকে বেশি (গড়ে 6 কিমি/সে) এই তরঙ্গ কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় সকল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। এই তরঙ্গই সর্বপ্রথম উপকেন্দ্রে পৌঁছোয়।

(ii) S তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যগুলি হল:- S তরঙ্গ অপেক্ষা কিছুটা কম শক্তিশালী তরঙ্গ (গতিবেগ পড়ে 3-5 কিমি/সে)। তরল বা গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্যে এই তরঙ্গ যেতে পারে না, কেবল কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই তরঙ্গ বস্তুকণার ওপর-নীচে ওঠানামার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।

(iii) L তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যগুলি হল:- সবথেকে কম গতিবেগসম্পন্ন (3-4 কিমি/সে) তরঙ্গ, কিন্তু এই তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে সর্বাধিক ক্ষতিসাধন করে। এই তরঙ্গ উপকেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ বরাবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠ বরাবর লাভ তরঙ্গ ও র‍্যালে তরঙ্গ রূপে প্রবাহিত হয়।

╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍

অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো মনে হতে পারে, তাই আমরা এর পুরোটাই অতি সহজে এবং সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কি আপনার পরিস্থিতির সমাধান করেছি – নাকি আপনি অন্য কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন? আমাদের অবশ্যই জানাবেন।

Leave a Comment