প্রশ্ন:- অভিশ্রুতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও ।
উত্তর:- অপিনিহিতি প্রক্রিয়ায় শব্দের অন্তর্গত যে ‘ই’ বা ‘উ’ তার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের আগে সরে আসে এবং সেই ‘ই’ বা ‘উ’ যখন পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে নিজেও তার সঙ্গে মিশে পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন সেই প্রক্রিয়াকে অভিশ্রুতি বলে।
▪ উদাহরন:— করিয়া > কইর্যা > করে।
প্রশ্ন:- ‘সমীভবন’ কাকে বলে ? এর প্রতিশব্দ লেখো।
উত্তর:- শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত ভিন্ন ভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের সুবিধার জন্য একে অপরকে অথবা উভয়েরই পরস্পরকে প্রভাবিত ও রূপান্তরিত করার যে প্রবণতা, তাকেই বলে সমীভবন।
▪ উদাহরন:— পদ্ম > পদ্দ।
▶ সমীভবনের প্রতিশব্দ হল ‘ব্যঞ্জনসংগতি’ ও ‘সমীকরণ’।
প্রশ্ন:- সমীভবনকে ব্যঞ্জনসংগতি বলার কারণ কী ?
উত্তর:- সমীভবনে একই শব্দের মধ্যে যুক্তভাবে বা পাশাপাশি অবস্থিত দুটি অসম ব্যঞ্জনধ্বনির একটি অন্যটির প্রভাবে সংগতি লাভ করে বলে একে ব্যঞ্জনসংগতি বলা হয়।
▪ উদাহরন:— কর্ম > কৰ্ম্ম, চন্দন > চন্নন।
প্রশ্ন:- পারস্পরিক বা অন্যোন্য স্বরসংগতি কাকে বলে ? উদাহরন দাও ।
উত্তর:- যদি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী দুটি স্বরধ্বনিই পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে একইরকম বা কাছাকাছি স্বরধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়, তবে তাকে বলে পারস্পরিক বা অন্যোন্য স্বরসংগতি।
▪ উদাহরন:— যদু > যোদো • পোষ্য > পুষ্যি।
প্রশ্ন:- পরাগত স্বরসংগতি কাকে বলে ? উদাহরন দাও ।
উত্তর:- পরবর্তী স্বরধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে একইরকম বা কাছাকাছি স্বরধ্বনিতে রূপান্তরিত হলে তাকে বলে পরাগত স্বরসংগতি।
▪ উদাহরন:— দেশি > দিশি • শুনা > শোনা বুনো বোনো • ভুলা > ভোলা ।