Class 8 বাংলা ব্যাকরণ Chapter 2 ব্যাকরণ ধবনি পরিবর্তনের কারণ ও ধারা  Short Answer Type Questions

প্রশ্ন:- ধ্বনির লোপ কাকে বলে ?

উত্তর:- উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা আরামপ্রিয়তার কারণে আমরা কখনো- কখনো শব্দস্থিত কোনো স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনিকে উচ্চারণ করি না। এর ফলে ক্রমে ক্রমে শব্দের মধ্যবর্তী ওই ধ্বনিটি লোপ পেয়ে যায়। একেই ধ্বনির লোপ বলে।

প্রশ্ন:- অন্তঃস্থ য়-শ্রুতি কাকে বলে উদাহরন সহ লেখো ?

উত্তর:- দুটি স্বরধ্বনি পাশাপাশি থাকলে তাড়াতাড়ি উচ্চারণ করার সময় একটি ধ্বনি অন্যটির সঙ্গে মিশে যেতে চায়। তখন তাদের মধ্যে একটি অর্ধস্ফুট ব্যঞ্জনধ্বনি হিসেবে ‘য়’ এসে বসলে, তাকে অন্তঃস্থ য়শ্রুতি বলে।
উদাহরন:— মা-এর > মায়ের • চা-এর > চায়ের • রেডিও > রেডিয়ো ভাই-এর > ভায়ের।

প্রশ্ন:- অন্তঃস্থ ব-শ্রুতি কাকে বলে উদাহরন সহ লেখো ?

উত্তর:- দুটি স্বরধ্বনি পাশাপাশি থাকলে উচ্চারণের সুবিধার জন্য যখন একটি অন্তঃস্থ ‘ব’ ধ্বনির আগমন ঘটে তখন তাকে অন্তঃস্থ ব-শ্রুতি বলে। অন্তঃস্থ ব-এর প্রভাবে একটা ‘ওয়’ উচ্চারণ এসে যায়।
উদাহরন:— দে + আ > দেওয়া যা + আ > যাওয়া খা + আ> খাওয়া নে + আ > নেওয়া।

প্রশ্ন:- আদিস্বরাগম কাকে বলে উদাহরন সহ লেখো ?

উত্তর:- শব্দের শুরুতে অর্থাৎ আদিতে যুক্তব্যঞ্জন থাকলে উচ্চারণের সুবিধার জন্য যুক্তব্যঞ্জনের আগে স্বরধ্বনির আগমন ঘটানোকে বলা হয় আদিস্বরাগম
উদাহরন:— স্পর্ধা > আস্পর্ধা • স্টিমার > ইস্টিমার স্কুল > ইস্কুল ।

প্রশ্ন:- মধ্যব্যঞ্জনাগম কাকে বলে উদাহরন সহ লেখো ?

উত্তর:- শব্দের মধ্যে যুক্তব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে অথবা কখনো-কখনো যুক্তব্যঞ্জনধ্বনি না থাকলেও উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে মধ্যব্যঞ্জনাগম বলে।
উদাহরন:— • বানর > বান্দর অম্ল > অম্বল • পোড়ামুখী > পোড়ারমুখী ডমরু > ডম্বরু।

Leave a Comment