Class 8 বাংলা ব্যাকরণ Chapter 3 বাক্যের ভাব ও রূপান্তর Short Answer Type Questions

আমাদের প্রিয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী্রা,
নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে ক্লাস ৮ বাংলা ব্যাকরণ অধ্যায় ৩ – বাক্যের ভাব ও রূপান্তর (Class 8 Bengali Grammar Chapter 3 Bakyoer Vaab O Rupantor) থেকে কিছু  সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন-উত্তর দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো অনুশীলন করতে পারো।

প্রশ্ন:- প্রশ্নবোধক বাক্যকে অবার কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?

উত্তর:- প্রশ্নবোধক বাক্যকে প্রকাশের দিক থেকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—
(ক) ‘ক’ প্রশ্ন (Wh-Question)
(খ) ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ জাতীয় প্রশ্ন।

[ক] ‘ক’ প্রশ্নের মধ্যে পড়ে কী, কেন, কীভাবে, কারা, কোথায়, কখন, কবে, কেমন করে প্রভৃতি। এগুলি ‘ক’ বর্ণটি দিয়ে শুরু হয়।  
 উদাহরন:— তোমার নাম কী? এখনই খাবে কেন? কোথায় থাকা হয়

[খ] ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর সবসময় হ্যাঁ বা না হয়।
   উদাহরন:— তুমি খেয়েছ কি? বৃষ্টি পড়ছে কি?

প্রশ্ন:- আবেগসূচক বা বিস্ময়বোধক বাক্য কাকে বলে উদাহরন সহ লেখো ?

উত্তর:- যে বাক্যে সুখ, দুঃখ, আনন্দ, ক্লোধ, উৎসাহ, ভয়, বিস্ময়, বিরক্তি ইত্যাদি কোনো- একটি আবেগ প্রকাশিত হয়, তাকে বলে আবেগসূচক বা বিস্ময়বোধক বাক্য। বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) দিয়েই সাধারণত এই বাক্য সমাপ্ত হয়।
  উদাহরন:—
(১) সাবধান। সামনেই গর্ত।
(২) এতটুকু ছেলের এত দুঃসাহস।
(৩) আঃ কী আরাম।

প্রশ্ন:- অনুজ্ঞাবাচক বাক্য কাকে বলে উদাহরন সহ লেখো ?

উত্তর:- শব্দটির আভিধানিক অর্থ আদেশ বা অনুমতি। তবে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলতে শুধু যে আদেশ বা অনুমতিমূলক বাক্যকেই বোঝায়, তা নয়। অনুরোধ, প্রার্থনা বা নিষেধের ভাবযুক্ত বাক্যও অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের মধ্যে পড়ে।
  উদাহরন:—
(১) চলে যাও এখান থেকে।
(২) এই অঙ্কটা একটু বুঝিয়ে দিন না।
(৩) ওদিকে যেও না।
(৪) ভগবান তোমার মঙ্গল করুন।

প্রশ্ন:- নির্দেশক বাক্য কাকে বলে ? উদাহরন সহ লেখো।

উত্তর:- যে বাক্যের দ্বারা কোনো বিষয় বর্ণনা করা হয় অথবা কোনো তথ্য বা সংবাদ স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকেই বলে নির্দেশক বাক্য। নির্দেশক বাক্যকে উক্তিবাচক বাক্যও বলা হয়।
  উদাহরন:—
(১) আমার শরীরটা আজ ভালো নেই।
(২) সবসময় সত্যি কথা বলা উচিত।

প্রশ্ন:- ভাব অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণিবিভাগ কর ?

উত্তর:- ভাব অনুযায়ী বাংলা বাক্যকে প্রধানত চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন— [১] নির্দেশক বাক্য, [২] প্রশ্নবোধক বাক্য, [৩] আবেগসূচক বা বিস্ময়বোধক বাক্য এবং [৪] অনুজ্ঞাবাচক বাক্য।

প্রশ্ন:- নির্দেশক বাক্য অবার কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা য়ায় ? ও কী কী ।

উত্তর:- এই নির্দেশক বাক্যের আবার দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয় ।
(১) হ্যাঁ-সূচক বা ইতিবাচক বাক্য বা অন্ত্যর্থক বাক্য।
(২) না-সূচক বা নেতিবাচক বাক্য বা নাস্ত্যর্থক বা নঞর্থক বাক্য।

প্রশ্ন:- হ্যাঁ-সূচক বা ইতিবাচক বাক্য বা অন্ত্যর্থক বাক্য একটি উদাহরন দাও ?

উত্তর:- হ্যাঁ-সূচক বা ইতিবাচক বাক্য বা অন্ত্যর্থক বাক্য একটি উদাহরন হল— আজ আমাদের খেলা আছে।

প্রশ্ন:- না-সূচক বা নেতিবাচক বাক্য বা নাস্ত্যর্থক বা নঞর্থক বাক্য একটি উদাহরন দাও ?

উত্তর:- না-সূচক বা নেতিবাচক বাক্য বা নাস্ত্যর্থক বা নঞর্থক বাক্য একটি উদাহরন ——আজ আমরা খেলতে যাব না।

প্রশ্ন:- প্রশ্নবোধক বাক্য কাকে বলে ? উদাহরন সহ লেখো।

উত্তর:- বাক্যের দ্বারা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, তা-ই হল প্রশ্নবোধক বাক্য। উদাহরন-
(১) তুমি কি এখনই চলে যেতে চাও?
(২) কে আবার এত রাতে এল ?

 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍

অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। যাইহোক, এটি মোটেই নয় কারণ আপনি উপরে উল্লিখিত ধাপে ধাপে লেখা উত্তরগুলি অনুসরণ করে এটি সমাধান করতে পারেন।যদি আপনি আপনার সমস্যা থেকে সমাধান না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের অবশ্যই জানাবেন।

Leave a Comment