Class 8 বাংলা ব্যাকরণ Chapter 7 সাধু ও চলিত রীতি Short Answer Type Questions

প্রিয় ভবিষ্যতের নক্ষত্ররা,
‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে ক্লাস ৮ বাংলা ব্যাকরণ অধ্যায় 7 সাধু ও চলিত রীতি (Class 8 Bengali Grammar Chapter 7 Sadhu O Cholit Riti) – এই বিষয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন:- লিখিত ভাষা কাকে বলে ?

উত্তর:- বাংলা ভাষায় যখন আমরা আমাদের মনের ভাব লিখে প্রকাশ করি তাকে লেখ্য বা লিখিত ভাষা বলে।

প্রশ্ন:- লিখিত ভাষা কয়টি রূপ আছে ?

উত্তর:- এই লিখিত ভাষার দুটি রূপ আছে। একটি রূপের নাম সাধু ভাষা, অন্যটির নাম চলিত ভাষা ।

প্রশ্ন:- সাধু ভাষা কাকে বলে ?

উত্তর:- ‘সাধু’ শব্দটির অর্থ পণ্ডিত। পণ্ডিত মানুষ সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় আসা শব্দগুলি নিয়ে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম মেনে যে কৃত্রিম ভাষা তৈরি করেন, তাকে সাধু ভাষা বলে ।

প্রশ্ন:- সাধু ভাষার দৃষ্টান্তটি লেখো ?

উত্তর:- সুভার বয়স ক্রমেই বাড়িয়া উঠিতেছে। ক্রমে সে যেন আপনাকে আপনি অনুভব করিতে পারিতেছে। যেন কোনো একটা পূর্ণিমাতিথিতে কোনো-একটা সমুদ্র হইতে একটা জোয়ারের স্রোত আসিয়া তাহার অন্তরাত্মাকে এক চেতনাশক্তিতে পরিপূর্ণ করিয়া তুলিতেছে। সে আপনাকে আপনি . নূতন অনির্বচনীয় দেখিতেছে, ভাবিতেছে, প্রশ্ন করিতেছে এবং বুঝিতে পারিতেছে না।

প্রশ্ন:- চলিত ভাষার দৃষ্টান্তটি লেখো ?

উত্তর:- টেনিদা আর বলতে দিলে না ! গাঁক গাঁক করে চেঁচিয়ে উঠল—থাম প্যালা, থাম বলছি। সুক্তো, বাটিচচ্চড়ি।——দাঁত খিঁচিয়ে বললে, তার চেয়ে বল না হিঞ্চে সেদ্ধ, গাঁদাল আর শিঙিমাছের ঝোল ! পালা-জ্বরে ভুগিস আর বাসক পাতার রস খাস, এর চাইতে বেশি বুদ্ধি আর কী হবে তোর! দিব্যি অ্যায়সা অ্যায়সা মোগলাই খানার কথা হচ্ছিল, তার মধ্যে ধাঁ করে নিয়ে এল বাটিচচ্চড়ি আর বিউলির ডাল !

প্রশ্ন:- সাধু ও চলিত রীতির একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো ?

উত্তর:- সাধুরীতির একটি বৈশিষ্ট্য হল—তৎসম শব্দের আধিক্য। চলিতরীতির একটি বৈশিষ্ট্য হল—সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত রূপ।

প্রশ্ন:- সাধু ও চলিতরীতির একটি মৌলিক প্রভেদ কী ?

উত্তর:- সাধু ও চলিতরীতির একটি মৌলিক প্রভেদ হল সাধু ভাষায় সর্বনাম, ক্রিয়া, অনুসর্গগুলি দীর্ঘ বা তৎসম শব্দ হয়ে থাকে, কিন্তু চলিত ভাষায় সেগুলি সংক্ষিপ্ত অতৎসম শব্দ।

প্রশ্ন:- নীচের সাধু গদ্যটিকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করো: তোমরা শুষ্ক গাছের ডাল সকলেই দেখিয়াছ। মনে করো, কোনো গাছের তলাতে বসিয়াছ। ঘন সবুজ পাতায় গাছটি ঢাকা, ছায়াতে তুমি বসিয়াছ। গাছের নীচে এক পার্শ্বে একখানি শুষ্ক ডাল পড়িয়া আছে।

উত্তর:- তোমরা শুকনো গাছের ডাল সবাই দেখেছ। মনে করো, কোনো গাছের তলায় বসেছ। ঘন সবুজ পাতায় গাছটি ঢাকা, ছায়ায় তুমি বসেছ। গাছের নীচে এক পাশে একটি শুকনো ডাল পড়ে আছে।

প্রশ্ন:- হঠাৎ বুলুর হাতের পেয়ারার থলি ফেটে গিয়ে ডজন খানেক ডাঁসা আর কাঁচা পেয়ারা মাটিতে ধপাধপ পড়ে চারিদিকে নিরুদ্দেশ যাত্রা করেছে ?

উত্তর:- অকস্মাৎ বুলুর হাতের পেয়ারার থলি ফাটিয়া গিয়া ডজন পরিমাণ ডাঁসা এবং কাঁচা পেয়ারা মাটিতে ধপাধপ শব্দে পড়িয়া চতুর্দিকে নিরুদ্দেশ যাত্রা করিয়াছে।

প্রশ্ন:- সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কী ?

উত্তর:- সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম দীর্ঘ হয় কিন্তু চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম হ্রস্ব হয়। যেমন:—করিতেছে (সাধু) > করছে (চলিত)।

প্রশ্ন:- সাধু থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করো: ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয়, এইজন্য তিনি এমন একটা আপোস করিবার চেষ্টা করিলেন যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ণ হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না ?

উত্তর:- ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নয় অথচ পায়জামাটা বিজাতীয়, এইজন্য তিনি এমন একটা আপোস করার চেষ্টা করলেন যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ণ হল, পায়জামাও প্রসন্ন হল না।

প্রশ্ন:- সাধু থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করো: আরবেরা তাঁহার অনুসরণে বিরত হইলে, তিনি স্বপক্ষীয় শিবিরের উদ্দেশে গমন করিতে লাগিলেন ?

উত্তর:- আরবরা তাঁর অনুসরণ করা বন্ধ করলে তিনি নিজের শিবিরের উদ্দেশে গমন করতে লাগলেন।

প্রশ্ন:- সাধু থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করোঃ বৎসরে দুশো টাকার মাছ বিক্রি হয় বলিয়া জমিদার বেণীবাবু তাহা কড়া পাহারায় আটকাইয়া রাখিয়াছেন ?

উত্তর:- বছরে দুশো টাকার মাছ ব্রিক্রি হয় বলে জমিদার বেণীবাবু তা কড়া পাহারায় আটকে রেখেছেন।

╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍

আশা করছি উপরের পোস্টটি তোমার বা আপনার প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কাজে অনেকখানি সাহায্য করেছে। যদি এই পোস্টটি তোমার জন্য বা আপনার জন্য সহায়তা করে থাকে তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই বন্ধুদের, আর অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Leave a Comment