প্রিয় ভবিষ্যতের নক্ষত্ররা,
‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 7 Part 2) – এর পরিবেশ ও ভূগােল (Geography) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় খুললে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) তোমাদের জমা করতে হবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।
তোমরা সবার আগে অবশ্যই নিজে করার চেষ্টা করবে। তারপর কোনরকম অসুবিধা হলে তোমরা আমাদের সাজানো উত্তরের সাহায্য নিতে পারো। উত্তরগুলি খাতায় তোমরা করার আগে অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে তারপর লেখা শুরু করবে ।
Table of Contents
ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৭ (সপ্তম শ্রেণী)
বিষয় –পরিবেশ ও ভূগােল
পূর্ণমান – ২০
February Model Activity Task Class 7 Part 2 Answer
( পরিবেশ ও ভূগােল )
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : (১×৩ = ৩)
১.১ নিরক্ষরেখার সাপেক্ষে ভারত অবস্থিত –
(ক) উত্তর গোলার্ধে
(খ) দক্ষিণ গোলার্ধে
(গ) পূর্ব গোলার্ধে
(ঘ) পশ্চিম গোলার্ধে
১.২ ভূ-গোলকে একটি অক্ষরেখা একটি দ্রাঘিমারেখাকে যত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে তা হলো
(ক) 0°
(খ) ৯০°
(গ) ৬০°
(ঘ) ৩০°
১.৩ ভূ-গোলকে অঙ্কিত প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা –
(ক) উপবৃত্ত
(খ) পূর্ণবৃত্ত
(গ) অর্ধবৃত্ত
(ঘ) সরলরৈখিক
২.১ শূন্যস্থান পূরণ করো : (১×২ = ২)
২.১.১ ১° দ্রাঘিমা ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে ________________ ঘণ্টা।
উত্তর:- ৪ মিনিট
২.১.২ দুটি দ্রাঘিমার মধ্যে দূরত্ব _________________ উপর সবচেয়ে বেশি।
উত্তর:- নিরক্ষরেখা
২.২ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : (১×৩ = ৩)
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
২.২.১ ২৩°৩০′ উঃ | ১. মূলমধ্যরেখা |
২.২.২ 0° | ২. ভারতের প্রমাণ সময় |
২.২.৩ ৮২°৩০′ পূঃ | ৩. কর্কটক্রান্তি রেখা |
উত্তর:-
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
২.২.১ ২৩°৩০′ উঃ | ৩. কর্কটক্রান্তি রেখা |
২.২.২ 0° | ১. মূলমধ্যরেখা |
২.২.৩ ৮২°৩০′ পূঃ | ২. ভারতের প্রমাণ সময় |
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (২×২ = ৪)
৩.১ অক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তর:- নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখাগুলো হল অক্ষরেখা।
৩.২ GPS-এর দুটি উপযোগিতা উল্লেখ করো।
উত্তর:-
ক) অবস্থান নির্ণয়- GPS এর সাহায্যে পৃথিবীর যে কোনো স্থানের অবস্থান খুব নিখুঁতভাবে জানা যায়।
খ) মানচিত্র তৈরি বিভিন্ন দেশের সীমানা চিহ্নিতকরণে ও বিভিন্ন প্রকার মানচিত্র তৈরিতে GPS ব্যবহার করা হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৩×১ = ৩)
অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:-
অক্ষরেখা | দ্রাঘিমারেখা |
১) অক্ষরেখাগুলো পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে। | ১) দ্রাঘিমারেখাগুলো পৃথিবীকে উত্তর দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে। |
২) নিরক্ষরেখা থেকে অক্ষরেখা গণনা করা হয়। | ২) মূল মধ্যরেখা থেকে দ্রাঘিমারেখা গণনাকরা হয়। |
৩) অক্ষরেখাগুলোর মান ০ (শূন্য ডিগ্রি) থেকে ৯০° পর্যন্ত। | ৩) দ্রাঘিমারেখাগুলোর মান ০° (শূন্য ডিগ্রি) থেকে ১৮০° পর্যন্ত। |
৪) একই অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলাে পরস্পরের পূর্ব বা পশ্চিম দিকে বিস্তৃত । | ৪) একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলাে পরস্পরের উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত থাকে। |
৫) সমাক্ষরেখাগুলাে পূর্ণবৃত্ত। | ৫) দ্রাঘিমারেখাগুলাে অর্ধবৃত্ত। |
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : (৫×১ = ৫)
চিত্রসহ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয়ের পদ্ধতিটি লেখো।
উত্তর:-
দ্রাঘিমা নির্ণয় : মূলমধ্যরেখা (০° ) থেকে পূর্বদিকে ১৮০° পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্রাঘিমাকে পূর্ব দ্রাঘিমা বলে। আর, মূলমধ্যরেখা থেকে পশ্চিম দিকে ১৮০° পর্যন্ত বিস্তৃত দ্রাঘিমাকে পশ্চিম দ্রাঘিমা বলে। পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় ১৮০° পূর্ব ও ১৮০° পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা হল একই রেখা।
যদি সমস্যাটি এখনও বিদ্যমান থাকে তবে নির্দ্বিধায় আমাকে জানান। আমি আরো গবেষণা সঙ্গে আপনার সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা আরো সহজভাবে যথাসাধ্য তোমাদের বা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ।