‘WB Institute’ এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ পার্ট ১ ( Model Activity Task Class 7 Part 1) – এর ইতিহাস (History) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task) জমা দেবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।
Table of Contents
জানুয়ারী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ (সপ্তম শ্রেণী )
বিষয় – ইতিহাস
পূর্ণমান – ২০
January Model Activity Task Class 7 Part 1 Answer
( ইতিহাস )
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : (১ x ৩ = ৩)
(ক) ‘ইন্ডিয়া’ নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন ___________ ।
উত্তর:- ‘ইন্ডিয়া’ নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ।
(খ) তাজমহল বানিয়েছেন সম্রাট ___________ ।
উত্তর:- তাজমহল বানিয়েছেন সম্রাট শাহজাহান।
(গ) বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি ___________ মাত্র।
উত্তর:- বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা মাত্র।
২. ঠিক বা ভুল নির্ণয় করাে : (১ x ৩ = ৩)
(ক) “হিন্দুস্থান’ শব্দ দ্বারা সমগ্র ভারতকে বােঝানাে হতাে।
(খ) পাের্তুগিজদের হাত ধরে ভারতে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
(গ) সাসানীয়দের শাসন ছিল ইরানে।
৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (একটি-দুটি বাক্য) : (২ x ২ = ৪)
(ক) ইতিহাসের সময়কে কয়টি যুগে ভাগ করা হয়? কী কী?
উত্তর:- ইতিহাসের সময়কে সাধারণ ভাবে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়।
যথা – (ক) প্রাচীন, (খ) মধ্য ও (গ) আধুনিক যুগ।
(খ) কোন সময়কালকে আদি-মধ্যযুগ বলা হয়?
উত্তর:- রাতারাতি ইতিহাসের যুগ যাওয়া সম্ভব না। ধরাে দুপুর বেলার কথা সেটা না সকাল না বিকেল। তেমনই ভারতের ইতিহাসে একটা বড়াে সময় ছিলাে, যখন প্রাচীন যুগ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে আর মধ্যযুগ ও পুরােপুরি শুরু হয়নি। সেই সময়টিকে ঐতিহাসিকরা বলে আদি মধ্যযুগ।
৪. নিজের ভাষায় লেখাে (তিন-চারটি বাক্য) : (৫ x ২ = ১০)
(ক) ইতিহাসের উপাদান কী? উপাদানের বিভিন্ন ভাগগুলির উল্লেখ করাে।
উত্তর:- ইতিহাসের সব উপাদান একরকম নয়, ইতিহাসের উপাদানগুলি নানারকমের। পুরোনো মূর্তি, পুরোনো মুদ্রা বা পুরোনো বই এগুলি বিভিন্ন উপাদান। এই কারনে ইতিহাসের উপাদানগুলিকেও নানা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন – লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান।
উপাদানের বিভিন্ন ভাগগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল –
(ক) পাথর বা ধাতুর পাতে লেখা থেকে পুরনো দিনের অনেক কথা জানা যায়। সেগুলিকে লেখ বলা হয়।
(খ) তামার পাতের লেখা হলে তাকে তাম্রলেখ বলা হয়।
(গ) পাথরের উপর লেখা হলে তাকে শিলালেখ বলা হয়।
(ঘ) কাগজে লেখা গুলিকে লিখিত উপাদান বলা হয়।
(খ) মধ্যযুগের ভারত কেমন ছিলাে?
উত্তর:- টুকরাে টুকরাে উপাদান জুড়ে ঐতিহাসিকরা সেসময়ের ইতিহাস লিখেছেন। তাতে দেখা যায়, তখন জীবনের নানান দিকে অনেক কিছুরই উন্নতি করেছিল ভারতের মানুষ।
এক দিকে ছিল নানান নতুন যন্ত্র ও কৌশলের ব্যবহার। কুয়াে থেকে জল তােলা, তাঁত বােনা বা যুদ্ধের অস্ত্র- বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল অনেক কিছুই। অনেক নতুন খাবার ও পানীয়ের কথা এই সময় জানতে পারে ভারতের লােক। এর সবচেয়ে মজার উদাহরণ হলাে রান্নায় আলুর ব্যবহার। পাের্তুগিজদের হাত ধরে এদেশে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
দেশ শাসনে আর রাজনীতিতেও নতুন অনেক দিক দেখা গিয়েছিল। শুধু রাজ্য বিস্তার নয়, জনগণের ভালাে-মন্দের কথাও শাসকদের ভাবতে হয়েছিল। অর্থনীতিতে একদিকে ছিল কৃষি, অন্যদিকে ব্যাবসা-বাণিজ্য। তৈরি হয়েছিল নতুন নতুন শহর। বন কেটে চাষবাস করার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। কিন্তু শিল্প হােক বা সাহিত্য- সবেতেই সাধারণ গরিব মানুষের কথা খুব বেশি ছিল না। সেসবের বেশির ভাগই ছিল শাসকের গুণগানে ভরা।
আমি আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পরে, আপনি কোনও সমস্যা ছাড়াই সমস্যাটি সমাধান করতে সক্ষম হবেন। যাইহোক, যদি কোনও সুযোগে ত্রুটিটি এখনও থেকে যায় তবে মন্তব্যে আমাকে জানাতে দ্বিধা করবেন না । তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে। আশা করছি তোমাদের ভালো লাগবে।