Model Activity Task Class 10 Part 2 ইতিহাস February 2022

প্রিয় ভবিষ্যতের নক্ষত্ররা,
‘WB Institute’  এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন। আমরা এই পর্বে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ১০ পার্ট ২ ( Model Activity Task Class 10 Part 2) – এর ইতিহাস (History) এই বিষয়ের প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় খুললে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Mode Activity Task) তোমাদের জমা করতে হবে। তাই তোমাদের সুবিধার জন্য অতি সহজ ও সরলভাবে প্রশ্ন-উত্তরের সেট সাজানো হয়েছে।

আশা করছি তোমাদের খুবই ভালো লাগবে এবং এতে তোমাদের উপকৃতও হবে। চলো তাহলে একসাথে পড়াশোনা শুরু করা যাক।

Table of Contents

ফেব্রুয়ারি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ২ ( দশম শ্রেণী )

বিষয় – ইতিহাস 

পূর্ণমান – ২০


February Model Activity Task Class 10 Part 2 Answer

( ইতিহাস )

১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : (১x৪ = ৪)

(ক) কলকাতা মাদ্রাসা গড়ে ওঠে_______খ্রিস্টাব্দে। 

উত্তর:- ১৭৮০

(খ) স্কুল বুক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন________। 

উত্তর:- ডেভিড হেয়ার

(গ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন________। 

উত্তর:- স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল

(গ) স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যােগ দিয়েছিলেন ________খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর:- ১৯৮৩

২. স্তম্ভ মেলাও : (১x৪ = ৪)

   – স্তম্ভ  – স্তম্ভ
 (i) অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(ii) তত্ত্ববোধিনী সভা হরিনাথ মজুমদার
 (iii) হুতম পেঁচার নক্সাডিরোজিও
 (iv) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাকালিপ্রসন্ন সিংহ  

উত্তর:-

   – স্তম্ভ  – স্তম্ভ
 (i) অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনডিরোজিও
(ii) তত্ত্ববোধিনী সভা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
 (iii) হুতম পেঁচার নক্সাকালিপ্রসন্ন সিংহ  
 (iv) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা হরিনাথ মজুমদার

৩. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : (২x২ = ৪)

(ক) লালন ফকির স্মরণীয় কেন?

উত্তর:- লালন ফকির একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাঙালি এবং বাউল সাধনার একজন প্রধান গুরু। লালন ফকির স্মরণীয় কারণ –

(i) লালন ফকির ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাউল গান রচয়িতা ও গায়ক । তিনি প্রায় দুহাজারেও অসাধারণ গানের সুরকার ও গায়ক ছিলেন।

(ii) লালন ফকিরের সহজ সরল অথচ গভীর  তাৎপর্যপূর্ণ মর্মস্পর্শী গানগুলি মানব জীবনের আদর্শ ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে ।

(iii) লালন ফকির তাঁর সহজ সরল বাউল মতাদর্শের মাধ্যমে জাতিভেদ প্রথার কঠোরতা কে  অবলীলায় অস্বীকার করার ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন ।   

(খ) পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে বেথুনের ভূমিকা কী? 

উত্তর:- উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে যে সকল ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন (বেথুন সাহেব)। পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে বেথুনের ভূমিকাগুলি হলো –

(i) মিশনারিদের স্থাপিত বালিকা বিদ্যালয়ে ভদ্র হিন্দু বালিকারা যেত না । বেথুন সাহেব এদের জন্য ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ৭ মে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন , যা বর্তমানে বেথুন স্কুল নামে পরিচিত ।  

(ii) ২১ জন বালিকা – সহ একটি মাত্র বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেও বিদ্যালয়টি আদর্শ হয়ে ওঠে । ভারতবর্ষের নারীদের  দুঃখ , দুর্দশা ও শিক্ষা সম্পর্কে বেথুন  সাহেব পরিচিত  ছিলেন । নারীশিক্ষার সপক্ষে  সংস্কৃত শ্লোক – লেখা ঘোড়ার গাড়ি বা পালকি করে বালিকাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন ।

এছাড়াও ফিমেল জুভেনাইল সােসাইটি প্রতিষ্ঠা, কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরী’ স্থাপন প্রভৃতিতে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।    

৪. সাত-আটটি বাক্যে উত্তর দাও : (৪x২ = ৮)

(ক) ব্রাহ্ম সমাজে কেন বিভাজন দেখা দিয়েছিল? 

উত্তর:- উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিল ব্রাহ্মসমাজ। রাজা রামমোহন রায় উপনিষদের একেশ্বরবাদী তত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরবর্তীকালে (১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে) ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয়।

ব্রাহ্ম সমাজ বিভাজনের কারণগুলি হল –

(i) উপবীত ধারণ, জাতিভেদ প্রথার প্রশ্নে  ব্রাহ্ম সমাজে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেনের মধ্যে মতভেদ ও বিভাজন ঘটে ।

(ii) হিন্দু ধর্মের নামে যেসব কুসংস্কারও অন্যায়ের প্রচলিত আছে তার উচ্ছেদ করা। 

(iii) অসবর্ণ বিবাহ, বিবাহের ন্যূন্যতম বয়স (নারীর) নির্ধারণ, কীর্তনরীতি, খ্রিস্টপ্রীতির প্রশ্নে কেশবচন্দ্র সেন ও শিবনাথ শাস্ত্রীর মধ্যে মতভেদ ও বিভাজন ঘটে ।

(iv) কেশব চন্দ্র সেন যুক্তিবাদ থেকে সরে গিয়ে ব্রাহ্ম সমাজে গুরুবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন, যা ছিল ব্রাহ্ম ধর্মের নীতি বিরুদ্ধ ।

(v) বাংলা বৈদ্যুতিক হিন্দুধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। 

রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন নিস্তেজ হয়ে পড়েল ব্রাহ্ম সমাজের হাল ধরেছিলেন দারক নাথ ঠাকুরের পত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ব্রাহ্ম আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বড় অবদান হলো তিনি ব্রাহ্মসমাজ এর নিয়মাবলী, ধর্ম, আচারবিধি ক্রিয়া পদ্ধতি প্রভৃতি প্রণয়ন করেন। তার এই কাজের ফলে দেশ আন্দোলন একটি সাংগঠনিক রূপ পায়।

(খ) বাংলার নবজাগরণ’-এর সীমাবদ্ধতা আলােচনা কর।

উত্তর:

ভূমিকা: উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী আন্দোলনের সূচনা হওয়ার ফলে তৎকালীন ধর্ম, সমাজ, শিক্ষ, সাহিত্য, দর্শন, রাজনৈতিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়, যাকে ঐতিহাসিকরা ‘বঙ্গীয় নবজাগরণ’ বা ‘bengal Renaissance’ বলা হয়।

উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের বেশ কিছু ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা লক্ষণীয় । সেগুলি হল –

(i) শহুরে আন্দোলন –  এই নবজাগরণ ছিল শহরের শিক্ষিত, চাকুরীজীবী ও ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এর কোনো প্রভাব ছিল না ।

(ii) বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ব্যর্থ  – এই সংস্কার আন্দোলনেও সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়নি  । এই সময়ের সংস্কারকরা ধর্ম ও সমাজকে অবিকৃত রেখে কিছু সংস্কার করতে চেয়ে ছিলেন মাত্র । এমনকি তারা কোম্পানির সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র সম্পর্কেও উদাসীন ছিলেন ।

(iii) উচ্চশ্রেণীর আন্দোলন –   ঊনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণকে অনেকে এলিটিস্ট  আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন । পন্ডিতদের মতে , এই আন্দোলন মুষ্টিমেয়  উচ্চবিত্ত ও  উচ্চশিক্ষিত লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল । এরা নিজেদের সার্থের জন্য  ইংরেজ সরকারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকত ।

(iv) হিন্দু সমাজের আন্দোলন – বাংলার নবজাগরণ অনেকাংশে হিন্দুসমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল ।  এই সময়ের সংস্কার -প্রচেষ্টা হিন্দুধর্ম ও সমাজকে অতিক্রম করতে পারেনি। 

অধ্যাপক সুমিত সরকার, বাংলা নবজাগরণ কে ইংরেজি নকলনবিশ বলে সমালোচনা করেছেন। বিনয় ঘোষের ধারণায় বাংলার নবজাগরণ একটি অতি কথা মাত্র। অশোক মিত্র বাংলার উনিশ শতকের জাগরন কে ‘তথাকথিত নবজাগরণ’(so called Renaissance) বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রিয় দশম শ্রেণীর ছাত্র- ছাত্রীরা উপরের February Class 10 Model Activity Task Part 2 এর সম্পূর্ণ ভাবে প্রশ্ন-উত্তর সহ আলোচনা করা হয়েছে। আশা রাখছি তোমাদের বা আপনাদের অনেকখানি সহায়তা করতে পেরেছি। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের শেয়ার করে তাদের সহায়তা করো বা করুন ।

Leave a Comment