যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করো ।

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন-উত্তর : সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও (প্রশ্নমান ➜ ৪) 


প্রশ্ন:- যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করো ।

উত্তর:-ভূমিকা : ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ – এর দশকে আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্যের অন্যতম দিক হিসেবে যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার সূচনা হয় ।

বৈশিষ্ট্য : যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসের বৈশিষ্ট্যগুলি হল —

পরিধি : যানবাহন মূলত তিন ধরনের যথা— জল, স্থল ও আকাশপথের যানবাহন । অন্যদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, চিঠিপত্র, রেডিয়ো, টিভি, ফ্যাক্স, মোবাইল ফোন প্রভৃতি ।
উদ্ভব ও উন্নতি : এই ইতিহাসচর্চায় ঢাকা আবিষ্কার থেকে শুরু বর করে যানবাহনের উদ্ভব ও তার বিবর্তন এবং যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন ধরনকে চিহ্নিত করা হয় । এর পাশাপাশি প্রাচীন যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সমসাময়িক যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পার্থক্য ও অগ্রগতি চিহ্নিত করাও এই ইতিহাসচর্চার অন্যতম উদ্দেশ্য ।

প্রযুক্তিগত উন্নতি : যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মুলে থাকে যে প্রযুক্তিগত উন্নতি, সেই অগ্রগতিকে খুঁজে বের করাও এই ইতিহাসচর্চার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ।

প্রভাব : বাণিজ্য, যাতায়াত, সাম্রাজ্যবাদের প্রসার, নগরায়ণ ও পরিবেশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভাবকে চিহ্নিত করে এই ইতিহাস বৈশিষ্ট্য ।

উপসংহার : যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে ; যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস একটি রাষ্ট্রে সংহতি ও জাতীয়তাবাদ যেমন সৃষ্টি করে, তেমনি তা আন্তর্জাতিকতাবাদের বিকাশেও সাহায্য করে ।

╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍

Leave a Comment