যথেচ্ছ শব্দবাজি ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।

তারিখ – ০১/০১/২০২৩
সম্পাদক সমীপেষু
দৈনিক পত্রিকা
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-০১    

বিষয়: যথেচ্ছ শব্দবাজি ব্যবহারের বিরুদ্ধে পত্রলিখন

মহাশয়, 

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আসন্ন। তাই সকলের মতো আমিও সমভাবে আনন্দিত ও উত্তেজিত। কিন্তু মনের কোণে চিন্তার এক মেঘ এসে আনন্দের অনুভূতিকে ম্লান করে তুলছে। উৎসবের মরশুমে চারিদিক আলোয় ভরে উঠলেও বাড়ির বৃদ্ধ মানুষদের মনে এখন থেকেই ভিড় করছে দুশ্চিন্তা। কিছুদিন পর থেকেই শুরু হতে চলেছে দীপাবলি উপলক্ষ্যে শব্দবাজির উৎপাত। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাড়ায় পাড়ায় উদ্দাম উল্লাসে মেতে উঠবে যুবকের দল। তারা অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুদের যন্ত্রনাকে অবহেলা করে শব্দবাজির বিকট আওয়াজে ভরিয়ে তুলবে আকাশ-বাতাস। এই সময়ে হৃদপিণ্ডের অসুখে আক্রান্ত মানুষ অথবা যে বৃদ্ধবৃদ্ধারা শেষ জীবন একু শান্তিতে কাটাতে চান, তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। পোষ্য ও রাস্তার কুকুর বেড়ালগুলিও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লুকোনোর জায়গা খোঁজে। সদ্যোজাত শিশুদের জন্য সাময়িক বা চিরতরে বধিরতার কারণ হতে পারে এই শব্দ। নানারকম কটু কথা ও আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয়ে মানুষ প্রতিবাদও করে না। পুলিশের দ্বারস্থ হলে সাময়িকভাবে সমস্যা মেটে, কিন্তু সামগ্রিক সুরাহা হয় না। কাজেই এর প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা তথা জনমত গড়ে তোলা, যা একমাত্র আপনাদের মত শক্তিশালী সংবাদপত্রের মাধ্যমেই সম্ভব।

আশা করি বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমার পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।

                                                                      ধন্যবাদান্তে
শ্রী সৌমেন্দ্রনাথ দত্ত

পূর্ব পুঁটিয়ারী
কলকাতা – ৭০০০৯৩

╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍

আপনি যদি এই পোস্টটি পড়তে পছন্দ করেন এবং এটি সহায়ক মনে করেন দয়া করে এটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে ভাগ করুন। এই পোস্টটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনার একটি পয়সাও খরচ হবে না তবে এটি কারও দিন তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment