▶ ভূমিকা:— উদ্ভিদ ও জীবজগৎ-সহ যে প্রাকৃতিক ঘেরের মধ্যে আমরা বাস করি, তা-ই হল পরিবেশ। প্রাকৃতিক নিয়মে এই পরিবেশের মধ্যে যুগ যুগ ধরে ভারসাম্য রক্ষিত হয়ে আসছে বলে জীবকুল আজও পৃথিবীতে সুস্থ- স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারছে। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্যরক্ষার একটি অনিবার্য সম্পর্ক রয়েছে।
▶ আধুনিক যন্ত্রসভ্যতা ও পরিবেশের ভারসাম্য:— আধুনিক যন্ত্রসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্যে সংকটের সূচনা ঘটেছে। জীবনযাপনের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমরা হাতের কাছে পেয়েছি অজস্র উপকরণ, গড়ে উঠেছে বড়ো বড়ো কলকারখানা। দ্রুতগামী যানবাহন থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক কম্পিউটার—সবই আজ আমাদের হাতে। মানুষ জেনেছে পারমাণবিক মহাশক্তির রহস্য। কিন্তু এসবের জন্য আমরা অবহেলা করেছি পরিবেশকে। যত বেশি আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে উল্লসিত হয়েছি তার থেকে অনেক কম মনোযোগ দিয়েছি পরিবেশের ভারসাম্যের দিকে।
▶ ভারসাম্যের সংকট:— বাতাসে, জলে, মাটিতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক দূষণ। অজস্র যানবাহন আর কলকারখানা থেকে প্রতি মুহূর্তে বের হচ্ছে বিষাক্ত ধোঁয়া। বনজঙ্গল কেটে নগরায়ণ করতে গিয়ে এবং শিল্পের প্রসার ঘটাতে গিয়ে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসে ভরে গেছে বাতাস। রাসায়নিক সার, কীটনাশক ওষুধ এবং কলকারখানা থেকে যে বর্জ্য পদার্থ বের হচ্ছে, তা থেকে দূষিত হচ্ছে নদী, সমুদ্র ও ভূগর্ভের জল; দূষিত হচ্ছে মাটি। শব্দদানবতো আজকের যুগের একটি বড়ো সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যানবাহনের শব্দ, বাজি ও মাইকের আওয়াজে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। পরিবেশের এই ভারসাম্যহীনতায় একদিকে যেমন দেখা দিচ্ছে অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি, অন্যদিকে নানা অসুখবিসুখ ।
▶ ভারসাম্যরক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা:— পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্যরক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও বনসংরক্ষণ খুবই জরুরি। ছাত্রছাত্রীরা পরিকল্পিতভাবে রাস্তার ধারে, বিদ্যালয়ে কিংবা পোড়ো জমিতে বৃক্ষ রোপণ করতে পারে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিংবা জল ও বাতাসকে যথাসম্ভব বিশুদ্ধ রাখার জন্য তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এর জন্য তারা আলোচনা সভা, পথ-নাটিকা প্রভৃতির আয়োজন করতে পারে।
▶ উপসংহার:— সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটা সুস্থ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের একটি গুরুদায়িত্ব রয়েছে। তারা বয়সের ব তরুণ, তাদের দেহে-মনে আছে অদম্য প্রাণশক্তি। যারা আজকের ছাত্রছাত্রী,ভবিষ্যতে তারাই হবে দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক।
╍╍╍╍╍╍╍╍╍╍ 🌸 ╍╍╍╍╍╍╍╍╍
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যাবহার করা একজন নবীন ছাত্র-ছাত্রি বা তাদের পিতা-মাতার কাছে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। যাইহোক, এটি মোটেই নয় কারণ আপনি উপরে উল্লিখিত ধাপে ধাপে লেখা উত্তরগুলি অনুসরণ করে এটি সমাধান করতে পারেন। যদি আপনি আপনার সমস্যা থেকে সমাধান না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের অবশ্যই জানাবেন।